শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
ঢাবির বিজয় র‌্যালিতে উপাচার্য

সংস্কৃতিবোধ মানুষকে মানবতাবোধে দীক্ষিত করে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩০ লাখ শহীদকে স্মরণ করে বলেন, বাংলা ভাষাভাষী মানুষই বিশ্বের বুকে প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যে মাতৃভাষার জন্য জীবন দেওয়া গৌরবের বিষয়। ইউনেসকোর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সংস্কৃতি মানুষকে মানুষ করে তোলে; সংস্কৃতিবোধ মানুষকে মানবতাবোধে দীক্ষিত করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি শেষে তিনি এসব কথা বলেন। র‌্যালিটি কলা ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জীবদ্দশায় বার বার আত্মসমালোচনা, আত্মশুদ্ধি, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যে স্থানে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং যেখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, সেই ঐতিহাসিক স্থানে এসে আমরা শক্তি অনুভব করি, গর্ব অনুভব করি। আগামী এক বছর নিজেদের আত্মবিশ্বাসী ও আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আত্মশুদ্ধির সে চর্চা আমরা চালিয়ে যেতে চাই— এই হোক আমাদের আজকের অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, আমরা আজকে যে স্বাধীনতা ভোগ করছি তার পেছনের এত বড় আত্মত্যাগের কথা ভুলে গেলে চলবে না। যারা দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করেছেন তারা এই দেশেরই বিভিন্ন জায়গায় মাটির নিচে শায়িত আছেন এবং তাদের সেই সাহস, সেই দেশপ্রেম এবং মূল্যবোধ নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

এতে ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। র‌্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের উদ্যোগে স্বাধীনতা চত্বরে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত, মুক্তির গান ও দেশাত্মবোধক গান।

সর্বশেষ খবর