সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিনা বিচারে আটক তিনজনের জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘বিনা বিচারে’ প্রায় দেড় যুগ ধরে কারাগারে আটক চারজনের মধ্যে মকবুল, সেন্টু ও বিল্লালকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট  বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এ চারজনের মামলা নিষ্পত্তিতে সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত। জামিনপ্রাপ্ত তিনজনের মামলা বিচারিক আদালতকে ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। বিনা বিচারে আটক চারজনের আরেকজন চাঁন মিয়ার মামলা বিচারিক আদালতে ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, চাঁন মিয়া অপরাধের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করে বিচারিক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ কারণে তার জামিনের বিষয়টি আদালত বিবেচনায় নেয়নি।

গত ১৬ থেকে ১৮ বছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আটক এই চার আসামিকে নিয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন নজরে এলে ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের এই বেঞ্চ ওই চারজনকে হাজির করতে নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ গতকাল এই চারজনকে আদালতে হাজির করে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি  জেনারেল এ কে এম জহিরুল হক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহীদুল ইসলাম খান।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চাঁন মিয়া ১৮ বছর ধরে বিনা বিচারে কাশিমপুর কারাগারে আছেন। ঢাকার শ্যামপুর থানার একটি হত্যা মামলায় ১৯৯৯ সালে গ্রেফতারের পর তিনি আর জামিন পাননি। ঢাকার পরিবেশ আদালতে বিচারাধীন এ মামলারও কোনো অগ্রগতি হয়নি। রাজধানীর উত্তরা থানার একটি হত্যা মামলায় ২০০০ সালে  গ্রেফতার হন মাদারীপুরের মকবুল হোসেন। এরপর ১৭ বছরে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন হয়নি। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মকবুলের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে কোনো আইনজীবীও ছিলেন না। মতিঝিলের এজিবি কলোনির সেন্টু কামাল গ্রেফতার হন ২০০১ সালে। সর্বশেষ গত মাসেও তাকে হাজির করা হয়েছিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে। গত ১৬ বছরেও মামলার বিচার শেষ হয়নি। মামলা শেষ হয়নি কুমিল্লার বিল্লাল হোসেনেরও। তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় ২০০২ সালে  গ্রেফতার হওয়া বিল্লাল কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। তার মামলাও ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

সর্বশেষ খবর