নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গতকাল বিকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মান্নার চিকিৎসার পূর্বনির্ধারিত তারিখ রয়েছে। সেজন্য তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মান্নার পারিবারিক সূত্র জানায়, কারাগারে আটক মান্না হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, ঘাড় ও শরীরের ব্যথাসহ নানা রোগে আক্রান্ত। সেনা বিদ্রোহে উসকানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলায় মান্না দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি আপিল বিভাগ থেকে জামিন পেয়েছেন। ২০১৫ সালে মান্নার সঙ্গে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তির টেলিফোনালাপের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশের পর ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মান্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে সেনা বিদ্রোহে উসকানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়।
মামুনের জামিন : মান্নার সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে সরকার উত্খাত ও সেনাবিদ্রোহে উসকানির বিষয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে সেনাবিদ্রোহে উসকানির মামলায় তিন মাসের অন্তর্বতীকালীন জামিন পেয়েছেন মো. মশিউর রহমান মামুন।
জামিনের আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন এবং বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেয়। তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে আদালত রুলও জারি করেছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ ও আবেদনের পক্ষে আইনজীবী গোলাম রসুল শুনানি করেন। মান্নার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকারী অজ্ঞাত সেই ব্যক্তিই মামুন। পরে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধেও রাজধানীর গুলশান থানায় সেনাবিদ্রোহে উসকানির মামলা হয়। এই মামলার আসামি মামুন অক্টোবরে জামিনের আবেদন করেন। গতকাল তার আবেদন মঞ্জুর হয়। তার এই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
