মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘আব্বা ডাক শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি’

প্রতিদিন ডেস্ক

দুর্ঘটনাকবলিত বাস থেকে একটি শিশুকে উদ্ধার করে কোলে নিয়ে ছুটছেন একজন, তার চোখে জলের ধারা—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ ছবির ব?্যক্তিটি পুলিশ কনস্টেবল শেরআলী। চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত এই কনস্টেবল ছুটিতে ছিলেন কক্সবাজারের বাড়িতে; রবিবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনার খবর শুনে ছুটে গিয়েছিলেন, তখনই উদ্ধার করে আনেন ওই শিশুটিকে। খবর : বিডিনিউজ।

অশ্রু কেন—জানতে চাইলে শেরআলী বলেন, ‘মেয়েটি আমাকে আব্বা বলার পর চোখে নিজের কন্যাশিশুর প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠেছিল। তখন আমি আর কান্না ধরে রাখতে পারিনি।’ উল্লেখ্য, গত রবিবার দুপুরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকায় বাস উল্টে নিহত হন চারজন, আহত হন অন্তত ২৩ জন। চট্টগ্রামে কর্মরত শেরআলী তিনদিনের ছুটি নিয়ে এদিন দুপুরের খানিক আগে রামুর রশিদনগরে নিজবাড়িতে পৌঁছেছিলেন। দুই সন্তানকে নিয়ে দুপুরে খাবার খাওয়ার সময় দুর্ঘটনার খবর শোনেন তিনি। শেরআলী জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে বাড়ি খুব কাছে হওয়ায় তিনি কয়েকজন প্রতিবেশীকে নিয়ে উদ্ধার কাজে নেমে পড়েন। একে একে ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান শেরআলী। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বাসের ভিতরে ব্যাগ রাখার জায়গায় এক শিশুকে আটকে থাকতে দেখেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ব্যাগ রাখার স্থানে শিশুটির মাথা থেকে চোখ পর্যন্ত আটকে ছিল। সেটি ফাঁক করে মেয়েটিকে উদ্ধার করার পর সে আমাকে আব্বা বলে পানি খেতে চায়।’ শেরআলীর নিজের মেয়েটিও একই বয়সী। তখন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই পুলিশ সদস?্য। শেরআলী পরে জানতে পারেন, শিশুটির নাম উম্মে হাবিবা। শিশুটির চোখে ও মাথায় আঘাত লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর