বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

শেষ হলো বসুন্ধরা কনভেনশন সিটির সেফটি ফেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) জমজমাট আয়োজনে শেষ হলো ফায়ার সেফটি মেলা। তিন দিনব্যাপী মেলার গতকাল ছিল শেষ দিন। শেষ দিনে সাধারণ দর্শক থেকে কারখানার উদ্যোক্তাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। ফায়ার সার্ভিসের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, অগ্নি-নিরাপত্তা সিস্টেম, অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধার কার্যক্রমে ব্যবহূত বিভিন্ন সরঞ্জাম দেখতে ও ধারণা নিতে অনেকেই এসেছেন মেলায়। ১২ ডিসেম্বর আইসিবিবি চত্বরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অগ্নিমহড়া প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

শেষ দিন মেলায় গিয়ে দেখা গেছে বাড়ি, অফিস কিংবা কারখানার নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন আধুনিক সরঞ্জামের প্রদর্শনী। ৩০টি প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে মেলায়। প্রতিটি স্টলই বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, পানির পাম্প, ফিটিংসের বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ফায়ার টেলিফোন সিস্টেম। এই সিস্টেমের মাধ্যমে কোনো শ্রমিক বা যে-কেউ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সময় আটকা পড়লে তারা উদ্ধারকারী বাহিনী ও অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এ পদ্ধতিতে কোনো নম্বরে ডায়ালের প্রয়োজন হবে না।

এ ছাড়া ফ্যাক্টরির অভ্যন্তরে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হবে এই ফায়ার টেলিফোন সিস্টেমের মাধ্যমে। স্পিকার হ্যান্ডসেট, মোবাইল হ্যান্ডসেট ও ফিক্স হ্যান্ডসেট এই তিন ধরনের হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করা যাবে কন্ট্রোল প্যানেলের সঙ্গে। অন্যদিকে কন্ট্রোল প্যানেলটি স্থাপন করতে হবে নিরাপদ ফায়ার কন্ট্রোল রুমে। অগ্নি-নিরাপত্তার মাল্টি সেন্সর, স্মোক ডিটেক্টর, ডুয়েল হিট ডিটেক্টর, আল্ট্রাভায়োলেট ফ্লেম ডিটেক্টর ও বিম ডিটেক্টর— এসব পণ্যের মাধ্যমে কোথায় আগুন লেগেছে সে বিষয়টা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আগুনের সংকেত পাওয়া যাবে। পাশাপাশি অ্যাড্রেসেবল ভয়েস অ্যানাউন্সমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রচার করা যাবে অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা। বিপদের সময় সবাইকে সঠিক পথনির্দেশনা দেবে এই পদ্ধতি।

এর মূল্য ২ লাখ থেকে শুরু করে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আগুন নেভানোর জন্য পানি নিক্ষেপ করবে স্প্রিংলার যন্ত্রটি।

সর্বশেষ খবর