বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
রমেক হাসপাতাল

ইন্টার্নদের কর্মবিরতি দুর্ভোগে রোগীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

নেতৃত্বের কোন্দলের জেরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি বিভাগের চিকিৎসক, রেজিস্ট্রার ও বিভাগীয় প্রধানদের দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে দাবি করলেও বাস্তবে রোগীরা কোনো চিকিৎসকের সেবা পাচ্ছেন না। ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের একটি কমিটির মেয়াদ শেষ না হতেই আরেক পক্ষ নতুন কমিটি গঠন করার জেরে হামলার ঘটনার পর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করে পরিষদের একাংশ।

এ নিয়ে গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় অপর পক্ষও অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয়। মেডিসিন ওয়ার্ডের এক রোগীর স্বজন আনোয়ার হোসেন গতকাল দুপুরে বলেন, ‘মঙ্গলবার দোপরের (দুপুর) পর একজন ডাক্তার আসি দেখি গেইচে। আইজ দোপর পর্যন্ত আর কোনো ডাক্তার আইসে নাই।’ একই অভিযোগ করেন একাধিক রোগীর স্বজন।

হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নেতৃত্বে কোন্দলের জের ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদুল কবীর বাঁধন জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের কমিটির মেয়াদ শেষ না হতেই সোমবার ফারহান রহমান সভাপতি ও উত্তম দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির নেতারা সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় ডা. মিলন ছাত্রাবাসে গিয়ে বর্তমান কমিটির সভাপতি মাহফুজুল হক তালুকদার রাকিবের কক্ষে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালান। আহত রাকিব হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও সংঘর্ষে আহত রাকিবের চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহসহ ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়। গতকাল পরিচালকের কার্যালয়ে আমাদের দাবি নিয়ে আলোচনার সময় ফারহান রহমান তার দলবল নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

নতুন কমিটির ঘোষিত সভাপতি ফারহান রহমান বলেন, কমিটির মেয়াদ এক বছর হলেও বিগত দিনে কমিটির নেতারা ছয় মাস করে দায়িত্ব পালন করতেন। সে অনুযায়ী আমরা সোমবার কমিটি করেছি। সোমবার রাতে ডা. মিলন ছাত্রাবাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে রাকিব তার দলবল নিয়ে আমাদের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামানের ওপর হামলা চালান।

এ নিয়ে গতকাল পরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে অপর পক্ষ হামলা চালায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরাও দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবু তাহের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান, ইন্টার্নদের কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর