শিরোনাম
রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নোবিপ্রবির ছাত্রাবাসে বহিরাগতদের হামলা ভাঙচুর, আহত ১৭

নোয়াখালী প্রতিনিধি

ছাত্রলীগ কর্মীর নেতৃত্বে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বহিরাগতরা। এ সময় অন্তত ১৭ জন সাধারণ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে তারা। আহতদের পাঁচজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সন্ধ্যায় ইন্ধনদাতাদের বহিষ্কার ও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তারা। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ৩টার দিকে হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল হামিদ রানার নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হলে প্রবেশ করে। তাদের একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। হামলাকারীরা হলে প্রবেশ করেই উপস্থিতদের এলোপাতাড়ি পেটাতে ও কোপাতে থাকে। তারা চার তলাবিশিষ্ট ছাত্রাবাসের প্রতিটি কক্ষের দরজা-জানালার গ্লাস, চেয়ার-টেবিল ও ছাত্রদের মোবাইল, ল্যাপটপসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা ছাত্রদের নগদ টাকা ও মোবাইল-ল্যাপটপ লুট করে। সাধারণ ছাত্ররা বাধা দিলে অনেককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। এতে বিপ্লব, রিকি, সত্যজিৎ, রাকিব, সায়েমসহ অন্তত ১৭ জন আহত হন। এদের মধ্যে চারজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। খবর পেয়ে সুধারাম থানা ও ডিবি পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য ক্যাম্পাসে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

সূত্র জানায়, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নাস্তা বিলি নিয়ে ছাত্রলীগের আবদুল হামিদ রানা ও সাজ্জাদ সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ওই দিন বিকাল থেকেই ক্যাম্পাস উত্তপ্ত ছিল। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করেও ওই দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুরে ছাত্রলীগের নেতা আবদুল হামিদ বাপ্পীর ইন্ধনে তার সমর্থক আবদুল হামিদ রানার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে এবং ছাত্রাবাসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তবে বাপ্পীর সহযোগিতায় তার নেতৃত্বে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আবদুল হামিদ রানা।

সর্বশেষ খবর