সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
নিউইয়র্কে তৌফিক ইলাহী

বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বেই জাতি স্বাধীন হয়েছে

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীরবিক্রম মুক্তিযুদ্ধকালীন স্মৃতি তুলে ধরে বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ধীরে ধীরে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন’। তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বই ছিল বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশে বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করার মূলমন্ত্র।’ খবর এনআরবি নিউজের। ৪৬তম বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন আয়োজিত আলোচনা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৌফিক-ই-ইলাহী বর্তমান বাংলাদেশের অসামান্য অর্জনের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী, দূরদর্শী ও গণমুখী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে প্রবাসীদের দেশ ও জাতির উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানান।

মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও কলামিস্টসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বাঙালির মিলন মেলায় পরিণত হয়। মুক্ত আলোচনা পর্বে উঠে আসে জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, বাঙালির বিজয় অর্জনের ইতিহাস, দেশের ব্যাপক উন্নয়ন এবং রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক। অনুষ্ঠানের শুরুতেই এ উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান এনডিসি তার বক্তব্যে বাংলাদেশকে একটি দৃশ্যমান শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটছে। অনুষ্ঠানে বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ও জাতির উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উন্মুক্ত আলোচনা শেষে জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়।

সর্বশেষ খবর