বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পল্লবীতে দুই জেএমবি সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবীর লালমাটিয়া এলাকা থেকে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি : সারোয়ার-তামিম গ্রুপ) দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তারা হলেন আতিকুর রহমান ওরফে মিলন (২১) ও খাদেমুল ইসলাম খাদেম ওরফে গাজোয়াতুল (২৮)। র‌্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে একটি দল সোমবার দিবাগত গভীর রাতে পল্লবীর লালমাটিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে জিহাদি বই, বিভিন্ন ধরনের লিফলেট, নগদ ৩৭ হাজার ৫৯৩ টাকা ও চারটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে র‌্যাব। গতকালই আদালতের নির্দেশে তাদের চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাব। কারওয়ান বাজার এলাকায় র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ অধিনায়ক লুত্ফুল কবীর জানান,  মিলনের সঙ্গে নিহত আবদুর রহমান ওরফে সারোয়ার জাহানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সারোয়ার বিভিন্ন সময় মিলনকে একাধিক জায়গায় অর্থ সংগ্রহ ও বিতরণের জন্য পাঠাতেন। একপর্যায়ে অর্থ বিতরণের কাজ করতে গিয়েই মিলনের সঙ্গে খাদেমুলের পরিচয় হয়।

র‌্যাব-৪ অধিনায়ক দাবি করেন, গ্রেফতার খাদেমুল এবং তার ভাই নাজমুল কারাবন্দী জসীম উদ্দীন রাহমানির বয়ান শুনেই উগ্রপন্থায় ধাবিত হন। পরবর্তী সময়ে চলতি বছরের আগস্ট মাসে তাজুল নামের এক জঙ্গির সঙ্গে পরিচয় হয় দুই ভাইয়ের। তাজুল এ দুজনকে পরিচয় করিয়ে দেন সিলেটের দুই জঙ্গি মাহমুদ ও নীরবের সঙ্গে। একপর্যায়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তারা। যেসব যুবক প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে আসত, তাদের আশ্রয় দানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন খাদেমুল ও নাজমুল। খাদেমুল এ কাজের জন্য নানা সময় বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে টাকা পেতেন। তাদেরই একজন হলেন আতিকুর রহমান মিলন।

গ্রেফতারদের তথ্যের বরাত দিয়ে র‌্যাবের দাবি, মিলন ২০১১ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৫০ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। তারপর ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৩.৫০ পেয়ে ২০১৪ সালে এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং করার জন্য রংপুরে অবস্থান করেন। এরপর তিনি সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ২০১৫ সালে সমাজকর্ম বিষয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। কিছুদিন ক্লাস করার পর পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফেসবুকের মাধ্যমে ফজলে রাব্বী (২৫) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়। এই ফজলে রাব্বীর মাধ্যমেই সারোয়ার জাহানের সঙ্গে পরিচিত হন মিলন। মিলন গাজীপুরসহ কয়েকটি জায়গায় অর্থ দিয়ে আসছিলেন। টঙ্গীর একটি বস্তিতে অর্থ দিতে গিয়ে খাদেমুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। খাদেমুল রাজধানীর ফকিরাপুল পানির ট্যাঙ্ক এলাকায় ব্যাগ তৈরির কারখানায় কাজ করতেন।

সর্বশেষ খবর