রাজধানীর কাঁচাবাজারে শাকসবজির দাম আরও কমেছে। এসব পণ্যের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। গতকাল বনানী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে বাজার ভেদে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০, বরবটি ৮০, টমেটো ৪০, বাঁধাকপি ২০ (প্রতি পিস), ফুলকপি ২০ (প্রতি পিস), ঝিঙ্গা ৫০, শিম ৩০, পেঁপে ২০, কচুরলতি ৫০, কচুরমুখি ৪০, আলু ২০, গাজর ৩০, মিষ্টি কুমড়া (প্রতি পিস) ৪০, লাউ ৩০ (প্রতি পিস), পটোল ৩০ টাকায়। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খেজুর গুড় বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। এ ছাড়া পিয়াজ, রসুন, আদা ও ডালের দামও কমেছে। পিয়াজ (দেশি) ৫ টাকা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায়। আর আমদানি করা পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায়। তবে রসুনের দাম ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা কেজি। আদার দাম ১০ টাকা কমে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাছের দামও স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশ ৮০০-৮৫০, দেশি রুই ২৫০-৩০০, কোরাল ৪০০, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। গতকাল ছুটির দিনে সবজির বাজারে শাকসবজি ও মাছের দাম স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতাদের অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে মাংসের দামে। যেখানে এক মাস আগেও প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৫৫০-৬৫০ টাকায়, সেখানে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছিল ৪২০ টাকায়, গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৭০ টাকায়, দেশি মুরগি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। মাংসের দাম বেশি থাকার কারণ সম্পর্কে বনানী বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ডিসেম্বর মাস থেকেই বিভিন্ন পিকনিক, বিয়ে, অফিসের অনুষ্ঠান বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।