সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিএনপিকে ব্যর্থ বলার সুযোগ নেই : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জনগণই এখন বর্তমান সরকারের মূল আতঙ্ক। এ কথা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, বিএনপিকে ব্যর্থ বলার কোনো সুযোগ নেই। কারণ জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণেই জনগণকে ক্ষমতাসীনদের এত ভয়। জনগণকে প্রয়োজন নেই বলেই তারা গণতন্ত্রকে পদদলিত করে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার ধারাবাহিক অপচেষ্টায় লিপ্ত। আর বিরোধী দলের কর্মসূচির কথা শুনলেই ক্ষমতাসীনদের মসনদ কেঁপে ওঠে। গতকাল বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন।

 এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সভা-সমাবেশের ওপর হামলা ও বাধা দেওয়ার ঘটনায় ক্ষমতাসীনরা জনগণের কাছে ক্রমাগত নিন্দিত ও ধিকৃত হচ্ছে। সরকারের সব বাধা ও উত্পীড়ন উপেক্ষা করে দলের নেতা-কর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক সব কর্মসূচি সফল করে যাচ্ছেন। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। লাখ লাখ মানুষের পায়ের আওয়াজে কেঁপে উঠছে স্বৈরাচারের মাটি। দুরন্ত দুর্নিবার আন্দোলনের শক্তি টের পেয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভয়ে আবোল-তাবোল বকছেন। আর বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশ লেলিয়ে দিচ্ছে তারা। কিন্তু এভাবে তারা নিস্তার পাবে না। জনগণের কাছে একদিন তাদের জবাবদিহি করতেই হবে।

রিজভী আহমেদ আরও বলেন, শনিবার ছিল ফেলানীকে হত্যা করে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখার বর্বরোচিত ঘটনার ষষ্ঠ বার্ষিকী। কিশোরী ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখার নির্মম দৃশ্য বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়েছে। মনে হয়েছে- ফেলানী নয়, গোটা বাংলাদেশই যেন কাঁটাতারে ঝুলছে। অথচ ফেলানীর খুনিদের ভারতে কোনো বিচারই হয়নি। উপরন্তু ফেলানী হত্যার ঘটনায় সৃষ্ট ক্ষোভ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন মহল। তবে কোনো সত্যই বেশি দিন ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায় না। তা ছাড়া প্রতিদিনই ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা করছে। গত শনিবারও চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে পিটিয়ে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা এবং নওগাঁর পোরশা থেকে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। অথচ নতজানু এই সরকার প্রতিরোধ দূরে থাক, প্রতিবাদের ভাষাও হারিয়ে ফেলেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর