প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনার মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে সাত আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরী আসামিদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মো. মাহবুবুল আলম দুই দফা রিমান্ড শেষে আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আসামিরা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ওই তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তাই আসামিদের কারাগারে আটক রাখা হোক। আসামিরা হলেন, প্রকৌশলী সামীউল হক, লুত্ফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন ভারপ্রাপ্ত) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী পরিদর্শন এবং মান নিশ্চিতকরণ (ভারপ্রাপ্ত) এস এ সিদ্দিক ও মুখ্য প্রকৌশলী মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল (এম সি সি ভারপ্রাপ্ত) বিল্লাল হোসেন। জানা গেছে, ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলে থাকায় ওই বিপত্তি ঘটে। এ ঘটনায় রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এস এম আসাদুজ্জামান। মামলার অভিযোগ করা হয়, বিভাগীয় তদন্তে ওই ৯ জনের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি নিয়ে অবহেলামূলক আচরণ করত অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
