সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ করতে হবে

————————— আয়শা খানম

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনে সরাসরি নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণসহ আসনসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ করতে হবে। এ জন্য নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণ এবং সংবিধান সংশোধন করা জরুরি। সারা বিশ্ব মেনে নিয়েছে এক-তৃতীয়াংশ নারী নেতৃত্বকে। তাহলে বাংলাদেশের অসুবিধা কোথায়? এ জন্য রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে নীতিনির্ধারণীসহ সব পর্যায়ে প্রয়োজন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ভিত্তিতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী, যুগ্ম-সম্পাদক সীমা মোসলেম ও রাখী দাস পুরকায়স্থ।

নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে আয়শা খানম বলেন, এখন সব দিকে অর্জন আর সফলতা রয়েছে নারীদের। তাই এ সময় দরকার নারীসমাজের টেকসই উন্নয়ন। নারীরা যখন এগিয়ে আসছে তখন তাদের পায়ের নিচের মাটি মজবুত করার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনপ্রিয়তার চেয়ে ভেষজ গুণাবলির পরিমাণ বেশি। মনোনয়ন নিতে প্রয়োজন হয় অর্থের। এ বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশন, সরকার ও রাজনৈতিক দলকে পরিবর্তন করতে হবে। দেশকে নেতৃত্ব দিতে অর্থ নয়, বরং জরুরি সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতা। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর এ বিষয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে। এতে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসবে এবং দলগুলো সহযোগিতা পাবে।

নারীদের জঙ্গিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আগে থেকেই এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। দেশে আগে থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী অপভ্রংশ ছিল। আর উগ্রবাদী, হেফাজতি, তেঁতুলতাত্ত্বিকরা তো নারীনীতি থেকে শুরু করে নারীদের সব অগ্রগতিতে বাধা দেওয়ার জন্য আছেই। যখন একটি পরিবারে বাবা-ভাই অথবা স্বামী জঙ্গিতে যোগ দিচ্ছে, তখন তারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে দলে ভেড়াচ্ছে পরিবারের নারী সদস্যদের।

আয়শা খানম বলেন, ‘বিগত বছরে আমরা দেখেছি তনু-রিশা হত্যা এবং খাদিজাকে হত্যার চেষ্টা। এ ছাড়া ধর্ষণ, নিপীড়ন আর সহিংসতা তো রয়েছেই। এই নৃশংসতার দিকে সরকারকে দৃষ্টি দিতে হবে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৬-এর বিশেষ বিধান বাতিল করতে হবে।

সর্বশেষ খবর