রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় হত্যা মামলায় মুফতি আবদুল হান্নানসহ আট আসামির ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ আপিলের শুনানি গ্রহণ করে। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ মামলার পেপারবুক উপস্থাপনের মাধ্যমে শুনানি শুরু করেন। ২০০১ সালে রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করা হয়। হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জঙ্গিকে এ মামলায় আসামি করা হয়। হামলার ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন রায় দেন। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্যরা হলেন আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমান। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, সাব্বির, শেখ ফরিদ, আবদুর রউফ, ইয়াহিয়া ও আবু তাহের।
জানা গেছে, পেপারবুকের তথ্য অনুসারে ১৪ আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, আবু বকর, শফিকুর ও আবদুল হাই। আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের সঙ্গে সাতজনের করা ছয়টি আপিলের শুনানি হবে। এর মধ্যে মুফতি হান্নান, আকবর হোসেন, সুমন, শাহাদাত উল্লাহ ও আবু তাহের পৃথক আপিল করেছেন। তবে শেখ ফরিদ ও মো. ইয়াহিয়া দুজন একটি আপিল করেছেন। সঙ্গে রয়েছে মুফতি হান্নান, আকবর হোসেন ও সুমনের জেল আপিল। বোমা হামলা চালিয়ে হত্যার ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে বিচারিক আদালতে হত্যা মামলায় রায় হলেও বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলাটি এখনো বিচারাধীন।
