সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

দুলাভাই হত্যা করলো শ্যালককে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্যালককে খুন করার পর খুনি নিজেই ভুক্তভোগীর মাকে পুত্র হত্যার কথা জানায়। গত ২ জানুয়ারি পাওনা টাকা চাওয়ায় রাশেদ নামে এক কিশোরকে নির্মমভাবে হত্যা করে তারই মামাতো বোনের জামাই রাহাত। ছয়দিন পর গতকাল সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর মেট্রো হাউজিং খালপাড় নর্দমা থেকে রাশেদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় রাহাতকে। পুলিশ বলছে, রাহাত হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। মোহাম্মদপুর থানার এসআই সজীব দে জানান, লাশটি পচনশীল অবস্থায় পাওয়া যায়। মরদেহের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে থেঁতলানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কিশোরটিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রাশেদের স্বজন জাকির বলেন, রাশেদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থানার চরমনপুরা এলাকায়। সে তার পরিবারের সঙ্গে রায়েরবাজার প্রেমতলায় থাকত। মোহাম্মদপুর সাদেকখান রোডে ‘খান হোটেল’ নামে তাদের একটি খাবার দোকান রয়েছে। রাশেদ দোকানটি দেখাশুনা করত। রাশেদের মামাতো বোন তানিয়া ও তার জামাই রাহাত মেট্রো হাউজিংয়ে থাকে। ২-৩ মাস আগে রাশেদকে ওমান পাঠানোর কথা বলে রাহাত তার কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও ওমান পাঠায়নি। একপর্যায়ে রাশেদ টাকা ফেরত চাইলে রাহাত তাকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে নর্দমায় ফেলে দেয়।

নিহতের মা রাশিদা বেগমের বরাত দিয়ে জাকির বলেন, শনিবার রাতে রাহাত নিজেই রাশেদের মাকে পুত্র হত্যার কথা জানায়। হত্যা করলেও এর দায় স্বীকার নিয়ে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ রাতেই রাহাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদকে হত্যার পর লাশ গুমের স্থান বলে দেয় রাহাত। পরে নর্দমা থেকে পুলিশ রাশেদের পচনশীল লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মামাতো বোন জামাই রাহাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর