সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় চীনা শিল্পীদের নান্দনিক নৃত্যানুষ্ঠান

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় চীনা শিল্পীদের নান্দনিক নৃত্যানুষ্ঠান

যন্ত্রসংগীতের মূর্ছনা, অ্যাক্রোব্যাট আর নৃত্যের শৈল্পিকতায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে গতকাল ৩৫ চীনা শিল্পী পরিবেশন করেছে নান্দনিক অনুষ্ঠানমালা। চীনা নববর্ষ উপলক্ষে এ সাংস্কৃতিক পরিবেশনাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ও চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং চীনের হেনান প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার।

গত বছরের অক্টোবরে চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পাদিত যৌথ ইশতেহারে ২০১৭ সালকে ‘বাংলাদেশ ও চীনের ২০১৭ : বন্ধুত্ব ও বিনিময়ের বছর’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারই অংশ হিসেবে প্রথম আয়োজনটি উপস্থাপন করা হয় গতকাল। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিসচিব আক্্তারী মমতাজ, ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইয়াং সিচাও এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।

শুরুতেই ‘অভিযাত্রা’ নামের পাখি-নৃত্য পরিবেশন করে মুনমুন আহমেদের দল রেওয়াজ পারফর্মিং আর্ট একাডেমি। এতে সম্মিলিত কণ্ঠে চাইনিজ ভাষায় গান গেয়ে শোনান ঢাকা সাংস্কৃতিক দলের শিল্পীরা। এরপরেই মঞ্চে আসে হেনান আর্ট ট্রুপের শিল্পীরা। তারা নৃত্যের ছন্দে তুলে আনেন চীনের বিভিন্ন ঐতিহ্য।

এ সময় মঞ্চে থাকা বিশালাকৃতির এলইডি মনিটরে তুলে আনা হয় চীনের ঐতিহ্যবাহী নানা স্থাপনার আলোকচিত্র। এরপর মঞ্চে পরিবেশন করা হয় শাওলিন, যা কুংফু নামেই অধিক পরিচিত। ভায়োলিন সাদৃশ্য চীনা লোক বাদ্যযন্ত্রের পরিবেশনার শুরুতেই ছিল চীনের লোকজ গানের সুর। রবিঠাকুরের ‘গ্রাম ছাড়া ওই রাঙামাটির পথ’ গানটির সুরও তারা তুলে ধরেন ভায়োলিনে। সবশেষে অ্যাক্রোবেটিক শো পরিবেশন করে দলটির নারী সদস্যরা।

বাংলা সিনেমার আলোচনা : নয় দিনব্যাপী চলমান ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৭’-এর চতুর্থ দিন গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে ’বাংলা সিনেমার বিশ্ব যাত্রা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ইন্টারন্যাশনাল ইমারজিং ফিল্ম ট্যালেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইইএফটিএ) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ইনিশিয়েটিভ  অব বাংলাদেশের যৌথ অংশগ্রহণে অলিয়ঁস ফ্রঁসেসে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন।

রণেশ দাশগুপ্তকে স্মরণ : শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সাংবাদিক-সাহিত্যিক-প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ রণেশ দাশগুপ্তকে স্মরণ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এ সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রণেশ দাশগুপ্তের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে উদীচী আয়োজন করে জয়ন্তী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্র, গণ ও লোকসংগীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা।

আলোচনা পরবর্তী সাংস্কৃতিক পর্বে ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানটির সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের নৃত্যশিল্পীরা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সরদার আবদুল করিম, মিজানুর রহমান সুমন এবং আশুতোষ রুদ্র।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর