সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০১৭ সালের হজ গমনেচ্ছুদের অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধন গতকাল শুরু হয়েছে। সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। কার্যক্রমের গুরুত্বারোপ করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, এ বছর সৌদি আরব ই-হজ ব্যবস্থাপনা চালু করেছে। তারা বলছে, মার্চের মধ্যে প্রাক-নিবন্ধন শেষ করতে হবে। ফলে সুষ্ঠুভাবে হজ ব্যবস্থাপনার জন্যই গতকাল থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধন শুরু হলো।
এ ছাড়া আগামী মাসের যে কোনো সময় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে হজের প্রাক-নিবন্ধন শুরু হবে। গত বছর নিবন্ধন করা ব্যক্তিরা চলতি বছরের তালিকায় অগ্রাধিকার পাবেন। গত বছর ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৪ জন হজযাত্রী প্রাক নিবন্ধন করেছিলেন। এর মধ্যে হজে গিয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৮২৯ জন। নিবন্ধনকৃতদের মধ্যে যারা বাকি ছিলেন এবারের প্রাক-নিবন্ধনের তালিকায় তারা অগ্রাধিকার পাবেন। তিনি আরও বলেন, প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম ও ২০১৭ সালে হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৯৬৪টি বৈধ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২৫টি ব্যাংকের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এসব বৈধ হজ এজেন্সিকে অনলাইন কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধনের কথা জানিয়ে মতিউর রহমান বলেন, গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এ বছর আমরা প্রাক-নিবন্ধনকে আরও উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কাজের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও নির্ভুল করতে বুয়েটের আইটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। বুয়েট, এটুআই, বিসিসির সহযোগিতা নিয়ে আইটি সার্ভারের সিকিউরিটি সিস্টেম উন্নত করা হয়েছে। সার্ভারের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যায়ে জাতীয় কারিগরি টিম গঠন করা হয়েছে। আইটি জালিয়াতি করে নিবন্ধন ছাড়াই বিপুলসংখ্যক যাত্রী গতবার হজ পালন করেছেন, যারা এতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে ধর্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল জলিল বলেন, এ বিষয়ে দুটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তারা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) নেতৃবৃন্দসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চাঁঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
