মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন

ছোট ভাই সিফাতের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (আইইউবি) বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শিহাবুল ইসলাম খান শিহাব খুনের ঘটনায় ছোট ভাই সিফাত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সিফাত বলেন, পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে অত্যাচার করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি তার বড় ভাই শিহাবকে খুন করেছেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আদাবর থানার পুলিশ জানায়, সিফাতকে গ্রেফতারের পর জেরার মুখে তিনি খুনের ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেন। বিশেষ করে তাদের মাকে শিহাব মারধর করায় ক্ষুব্ধ হয়ে সিফাত তাকে খুন করেন বলে জানান। এ বিষয়ে আজ মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানাবেন বলেও জানান তিনি।

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান জানান, এ হত্যার ঘটনায় শিহাবের ছোট ভাই দায় স্বীকার করেছেন। মামলার পরই তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ দায় তিনি নিজে নিয়ে নেন। তবে এ হত্যা মামলায় আর কাউকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি।

শনিবার সকালে রাজধানীর আদাবরের প্রমিনেন্ট হাউজিংয়ে ২৪ নম্বর বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলা থেকে শিহাবের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের সময় তার গলার বাঁ পাশে ও হাতে ধারালো অস্ত্রের একাধিক কাটা দাগ দেখা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আদাবর থানার পুলিশ, সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ ও গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। ঘটনার পরদিন তার বাবা সিরাজুল ইসলাম খান বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে আদাবর থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম গতকাল জানান, মৃত্যুর আগে সোমবার শিহাব তার মাকে মারধর করেন, যে কারণে তার ছোট ভাই সিফাত ক্ষুব্ধ হন। তবে শিহাবকে মারার পরিকল্পনা সম্পর্কে তার মা আগে থেকেই জানতেন বলে সন্দেহ রয়েছে। হত্যার আগেই শিহাবের মা আদাবরের বাসা থেকে মাদারীপুরে বেড়াতে যান। এরপর সিফাত বড় ভাই শিহাবকে হত্যার পর মাদারীপুরে চলে যান। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধারের দিন শিহাবের মা শাহীনা সুলতানা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার রাতে শিহাবের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়েছিল। এরপর বুধবার সকালে তারা একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাদারীপুরের গ্রামের বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকে শুক্রবার রাত ৯টায় বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার শিহাবকে ফোন দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি। পরদিন উৎকট গন্ধ পেয়ে রুমের দরজা ভেঙে বিছানার ওপর শিহাবের লাশ গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর