মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

কলড্রপ ও ক্ষতিপূরণের তথ্য প্রতি মাসে

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রতিমাসে কলড্রপের সংখ্যা এবং ক্ষতিপূরণের হিসাব মোবাইল ফোন অপারেটরদের বাধ্যতামূলকভাবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে পাঠাতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। গতকাল সচিবালয়ে অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। সেবার মান, কলড্রপ ও বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়ন পর্যালোচনা বিষয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন তারানা। খবর, বিডি নিউজ।

কলড্রপের ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অপারেটরদের অভিমত ও বিটিআরসির যে মতামত, তা ধর্তব্যে নিয়ে দেখা যাচ্ছে আইটিইউর (আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা) নির্ধারিত কলড্রপের যে মান আছে অপারেটরদের মতো, তারা যে কাগজ জমা দিয়েছেন, তার নিচেই কল ড্রপ হচ্ছে।’

‘এরপরও যদি অতিরিক্ত হয় তারা এর ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করেছেন। এসএমএসের মাধ্যমে অবগত করেছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’

কলড্রপের ক্ষেত্রে আইটিইউর একটি নির্ধারিত মান আছে। শতকরা তিনটি পর্যন্ত কলড্রপ হলে সেটাকে মানসম্মতই ধরে নেওয়া হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেহেতু গ্রাহক পর্যায়ে অভিযোগটি (কলড্রপের) পাচ্ছি, আমরা বলেছি প্রতিমাসে আইটিইউ নির্ধারিত মানের বাইরে কতটি কলড্রপ হলো, কতটি কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলো, এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানানো হলো, এ বিষয়ে বাধ্যতামূলকভাবে একটি প্রতিবেদন বিটিআরসিকে দিতে হবে।

‘যার কপি বিটিআরসি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে, যাতে মন্ত্রণালয় পুরো বিষয়টি সুপারভিশন করতে পারে।’

অপারেটরদের জানুয়ারি মাসের প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারিতে পাঠাতে বলা হয়েছে বলে জানান তারানা হালিম।

গত বছর জানুয়ারি মাসে মোবাইল ফোনে প্রতি কলড্রপে এক মিনিট করে ক্ষতিপূরণ দিতে অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। তবে এই ক্ষতিপূরণ কোন প্রক্রিয়ায় দেওয়া হবে, তা নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অপারেটরদের মধ্যে বারবার বৈঠক হলেও তা কার্যকর হয়নি।

সর্বশেষ খবর