বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মাটির নিচের আগুন থেকে ৭০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাটির নিচের আগুন থেকে বাংলাদেশে ৭০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব বলে দাবি করেছেন জার্মানিভিত্তিক আন্তর্জাতিক জিওথারমাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও বাংলাদেশের জিওথারমাল গবেষক মোশারফ হোসেন মন্টু। প্রতিষ্ঠানটি জাতিসংঘের সহযোগী। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে জাতিসংঘ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড থেকে আর্থিক তহবিলও জোগান দেয় বলে জানান তিনি। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে জাতিসংঘ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা আদায়ে উদ্যোগী হতে বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (এডিপি) এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোশারফ হোসেন মন্টু বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

এ সময় বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বারের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তিনি জিওথারমাল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে স্বল্প খরচে বাংলাদেশের বিপুল বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

মন্টু বলেন, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠন করেছে। সেই তহবিল থেকে জিওথারমাল পাওয়ার প্লান্ট বাস্তবায়নে আর্থিক জোগান দেওয়া হচ্ছে। এজন্য ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পসহায়তা পেতে পারে বাংলাদেশ। তিনি গবেষণা উপাত্ত তুলে ধরে জানান, ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জিওথারমাল পাওয়ার প্লান্ট বাস্তবায়নের উপযোগী দেশ। ২০১১ সালে বাংলাদেশে জাতিসংঘ পরিচালিত জরিপেও সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মাটির নিচের বিদ্যমান প্রচণ্ড শক্তিশালী অগ্নিকুণ্ড থেকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়াকে জিওথারমাল পাওয়ার প্লান্ট বলা হয়। যেসব দেশে ভূমিকম্প হয় তার মাটির নিচের এই আগুনের চাপ বেশি থাকে। তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে সে চাপ কমতে থাকে। ইউরোপ, আমেরিকা, চীন, রাশিয়াসহ বিশ্বের ২৪টি দেশে জিওথারমাল পাওয়ার প্লান্ট থেকে বিদ্যুৎ উপাদন হচ্ছে। ভারত এর মধ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পাকিস্তানও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

সর্বশেষ খবর