রবিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

নিরাপদ সড়ক পাঠ্যপুস্তকেও সংযোজন করতে হবে : স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয়’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে এবার পালিত হলো ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর সপ্তম মহাসমাবেশ। এতে অংশ নিয়ে স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, একটি সড়ক দুর্ঘটনা একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে পাঠ্যপুস্তকেও বিষয়টি সংযোজন করতে হবে। জেব্রা ক্রসিং স্পষ্ট করতে হবে।  গাড়ি চালক ও পথচারীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পাশাপাশি নিরাপদ সড়কের জন্য আইন প্রণয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি।

রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত এ মহাসমাবেশ সারা দেশ থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে উৎসবমুখর করে তোলেন। এ উপলক্ষে একটি স্যুভেনিরও প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া দেশব্যাপী কৃতী সংগঠক ও জীবন সদস্যদের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। মহাসমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন। সভাপতিত্ব করেন মহাসমাবেশ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ এহসানুল হক।

ড. শিরীন শারমিন আরও বলেন, ‘দলমতনির্বিশেষে নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠার দাবি সর্বজনীন। দুর্ঘটনা প্রতিরোধযোগ্য, নিয়ন্ত্রণহীন কোনো কিছুই সফলতা আনতে পারে না।

 তাই দেশের সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের এ কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি কার্যকর আইন প্রণয়নের পদক্ষেপ নিতে হবে। আমার বিশ্বাস, এই বিলে সব এমপি একাত্মতা প্রকাশ করবেন।’

মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘গত তিন বছরে দেশে দুর্ঘটনার হার কমেছে। জনসচেতনতাও বেড়েছে। তবে রাস্তায় সড়কবাতি ও লাল-নীল বাতি লাগানো ছাড়া সিটি করপোরেশনের কিছু করার নেই। যানজটমুক্ত ঢাকা ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। যানজটমুক্ত ঢাকা গড়তে আমরা ফুটপাথ দখলমুক্ত করা বা হকার উচ্ছেদ শুরু করেছি। তবে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে চালকদের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য পরিবহন চলাচল ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।’

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, জনসচেতনতার পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় এখন একটি আইন প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ আইন দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করে।

সর্বশেষ খবর