মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
গাইবান্ধায় স্কুলে আগুন

ব্যাংক ব্যবস্থাপককে জিজ্ঞাসাবাদ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার কামারজানি ইউনিয়নে গণ উন্নয়ন একাডেমি বিদ্যালয় দুর্বৃত্তরা ২৬ জানুয়ারি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার পর মাঠে তাঁবু ও অর্ধেক পুড়ে যাওয়া শ্রেণিকক্ষে চলছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান  বলেন, শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত এভাবে শিক্ষাদান অব্যাহত থাকবে। এদিকে, পুড়িয়ে দেওয়া স্কুলের পাশে একটি নতুন স্কুল গড়া নিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের সংশ্লিষ্টতার কারণে ব্যাংকের গাইবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মেহেদী হাসান জানান, যেহেতু পার্শ্ববর্তী স্থানে অন্য একটি স্কুল তৈরি করাকে কেন্দ্র করে ব্যাংকের সংশ্লিষ্টতার কথা গ্রেফতার রঞ্জু মিয়াসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, সে কারণে মূলত ব্যবস্থাপক ওয়াশিবুল হক চিশতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

 প্রস্তাবিত স্কুল তৈরি নিয়ে কোনো বিরোধে গণ উন্নয়ন একাডেমিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এখনই কিছু বলার সময় আসেনি। অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে। অভিযোগের ভিত্তিতে রঞ্জুকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য সন্দেহভাজনদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

 

স্থানীয় সূত্রমতে, ন্যাশনাল ব্যাংক চর পারদিয়ারায় মাধ্যমিক স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ নিলে একটি চক্র সে সুযোগ গ্রহণ করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। চক্রটি প্রস্তাবিত স্কুলকে কেন্দ্র করে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এ কারণে তারা গণ উন্নয়ন একাডেমি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এদিকে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার পর ন্যাশনাল ব্যাংক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ থেকে কিছুটা পিছিয়ে যায়। তখন থেকেই গণ উন্নয়ন বিদ্যালয়ের সঙ্গে ওই চক্রটির বিরোধ শুরু হয়। ফলে অগ্নিসংযোগের পর থেকেই ব্যাংকের স্কুলের জন্য জমি দানে আগ্রহী মজিবর রহমানের ছেলে রঞ্জু মিয়াকে মূল সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ টার্গেট করে এবং রবিবার তাকে গ্রেফতার করে।

জেলা প্রশাসন থেকে সহায়তা : এদিকে, কুন্দেরপাড়া গণ উন্নয়ন একাডেমি স্কুলের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ ও আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য সরকারি তহবিল থেকে ৪৫ হাজার টাকা ও ১৫ বান্ডিল ঢেউটিন এবং স্থানীয় তহবিল থেকে ২০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. আবদুস সামাদ সহায়তা বাবদ এই অর্থ প্রদান করেন। এ ছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল পরিদর্শন করে পরিষদের তহবিল থেকে ১ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

সর্বশেষ খবর