বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

রুয়েটে একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছে একাডেমিক কার্যক্রম। ‘৩৩ ক্রেডিট’ পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ১৪ ও ১৫ সিরিজ শিক্ষার্থীদের টানা সাত দিন আন্দোলন চলছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের অসদাচরণের ঘটনায় শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন। এতে টানা নয় দিন ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। রুয়েট সূত্রে জানা যায়, শিক্ষকদের কর্মসূচিতে সোমবার ১২ সিরিজের ভাইভা ও মঙ্গলবার ১৪ সিরিজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাসহ কোনো বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ সিরিজের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী সেশনজটের কবলে পড়তে পারেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ সিরিজের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা স্যারদের সঙ্গেই আছি। স্যারদের সঙ্গে যে আচরণ হয়েছে সেটা ভালো হয়নি। যারা এর সঙ্গে জড়িত তারা ক্ষমা চাইলে হয়তো স্যাররা ক্ষমা করে দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেবেন। অন্যথায় আমরা সেশনজটে পড়ব। কয়েকজনের জন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভোগান্তিতে পড়ব, এটা দুঃখজনক।’

তবে শিক্ষকদের এমন কর্মসূচিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। কিন্তু স্যারদের এমন সিদ্ধান্তে আমরা অনিশ্চতায় পড়েছি, সেশনজটে পড়তে হয় কি না। আমরা স্যারদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি। তবু তারা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন বুঝতে পারছি না।’

এ ব্যাপারে রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নিরেন্দ্রনাথ মুস্তাফি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে শিক্ষকদের সম্মানহানি ও হেনন্থা করা হয়েছে। শিক্ষকদের যে সম্মান পাওয়ার কথা তা যদি না থাকে তাহলে আমরা সেই ছাত্রদের ক্লাস হাসিমুখে নিতে পারি না। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে পাঠদান। আমরাও দ্রুত ক্লাস নিতে চাই। কিন্তু শিক্ষক অপমানকারীদের শাস্তি না হলে তা সম্ভব নয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ বলেন, শিক্ষক সমিতির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর