মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বছরে ৪০০ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়

ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, পুলিশের কেউ যদি বেআইনি কাজ অথবা জনহয়রানিমূলক কাজ করে তাহলে তদন্ত করা হয়। গড়ে প্রতি বছর ৪০০ পুলিশের বিরুদ্ধে জনহয়রানির অভিযোগ তদন্ত করা হয়। ডিএমপিতে ক্ষমতার অপব্যবহার, জনহয়রানির মাত্রা অনেক নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ ও ‘ডিএমপি’র যৌথ আয়োজনে গতকাল দুপুরে ‘মিট দ্য ডিবেটরস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এ সংলাপ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ-ভীতি দূর করে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য এবং ঢাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে। আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে, এটা আমরা মানি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বর্তমানে মাদক একটি বড় সমস্যায় রূপ নিয়েছে উল্লেখ করে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এ সমস্যা একা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। ইতিমধ্যে রাজধানীর মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা ও স্পট নির্ধারণ করে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এই সমস্যা সমাধানে পরিবার পর্যায়ের সচেতনতা দরকার।

কমিশনার বলেন, দুই কোটির বেশি মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে নিয়মিত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। বজ পাত,  শৈত্যপ্রবাহ, বৃষ্টি সবসময় রাস্তায় কেউ না থাকলেও পুলিশ থাকে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা সময়ে আমাদের কাছে অভিযোগও আসে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পুলিশের ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলেও সাফল্য রয়েছে।

জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশের নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তাদের নিশ্চিহ্ন করতে আরও অনেক সময় লাগবে। বিশ্বের অনেক দেশ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে জঙ্গি দমনের জন্য। তারপরও তারা জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করতে পারছে না। কিন্তু আমরা জঙ্গি দমনে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের  নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে। তবে জঙ্গিদের নিশ্চিহ্ন করতে আরও সময় লাগবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর