বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
শিক্ষক লাঞ্ছনা

ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার দাবি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

কালীগঞ্জ উপজেলার হাট বারোবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে পিটিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন সকালে শহীদ মিনার থেকে ফুল সরানোর অজুহাতে প্রধান শিক্ষককে মারধর করা হয়। এ সময় বারোবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রধান শিক্ষককে লোকজনের সামনে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করেন। লোকলজ্জা ও ভয়ে প্রধান শিক্ষক থানায় অভিযোগ করেননি। গতকাল ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার সচেতন অভিভাবকরা, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কালামসহ তার দলের লোকজন এসে তাকে বিনা কারণে গালিগালাজ করে চলে যান। কিছুক্ষণ পরে বাদুরগাছা গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ দলবল নিয়ে এসে শত শত লোকের সামনে আচমকা তাকে মারপিট করতে থাকে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। প্রধান শিক্ষক বলেন, আমিও আওয়ামী লীগের সমর্থক। বঙ্গবন্ধুর ওপর আমার অনেক লেখা আছে। আমার ছাত্রছাত্রীদের সামনে এভাবে মারধরের ফলে মানসিক বিপর্যস্ত।

বারোবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার বলেন, আমি ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলাম। চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরপরই ফিরোজ এসে প্রধান শিক্ষককে কিল-ঘুষি-চড়-থাপ্পড় মারলে তিনি আহত হন।

ফিরোজ হোসেন বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি বেদি থেকে ফুল নামানো নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। এর বেশি কিছু হয়নি।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, শিক্ষক লাঞ্ছনার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কিন্তু লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর