রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

দেশকে অস্থিতিশীল করাই জঙ্গিবাদীদের টার্গেট : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করাই জঙ্গিবাদীদের টার্গেট। তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন ও দেশের উন্নয়ন বানচালে তৎপর।

তিনি জঙ্গি দমনে দলমতনির্বিশেষে সম্মিলিতভাবে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দলমত খণ্ডিত চিন্তা করে লাভ নেই। আমরা ভিন্ন ভিন্ন দল করি, কিন্তু দেশটা সবার। দেশ যদি ঠিক না থাকে, অস্থিরতা-নাশকতা হয় তাহলে আপনি আমি কেউ নিরাপদ নই। এটা জাতির জন্য চ্যালেঞ্জ। কোনো দলের বিষয় নয়, দেশের স্বার্থে জাতীয় স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে অপশক্তিকে আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদীরা এবার স্বাধীনতার মাসকে বেছে নিয়েছে।

তারা বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ ওবায়দুল কাদের গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি মিলনায়তনে যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালানোর কারণে জঙ্গিরা তাদের টার্গেট করছে। প্রথমে চান্দিনা, এরপর ফেনী, সীতাকুণ্ড হয়ে আশকোনায় আমাদের এলিট ফোর্স র‍্যাবের ওপর আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে তাদের মনোবল ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীন পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। তাই এটা এখন জাতীয় ইস্যু। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র থেকে এ ধরনের হামলা করা হচ্ছে।’

সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেড় বছর পর আমাদের জাতীয় নির্বাচন। এ ধরনের হামলা নির্বাচনের অন্তরায়। পেট্রলবোমার ধারাবাহিকতায় আশকোনার এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘হলি আর্টিজানে উগ্রবাদী হামলায় সাতজন জাপানি পরামর্শকের রক্তাক্ত বিদায় হয়। এতে প্রায় পাঁচ মাস মেট্রোরেলের গতি ঝিমিয়ে থাকে। এ ধরনের হামলায় আমাদের দেশের মানুষের ওপর যতটা না প্রভাব পড়ে, তার চেয়ে বেশি পড়ে বিদেশিদের ওপর। তখন তারা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়। যে কারণে মেট্রোরেলের মতো একটা প্রকল্পের কর্মকাণ্ড বিলম্বিত হয়েছে।’

যক্ষ্মা দিবস সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যক্ষ্মা আমাদের জন্য অবশ্যই চ্যালেঞ্জ। এটা নির্মূল করা কঠিন কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এটা নির্মূলের পরিবেশ আমাদের তৈরি করতে হবে। যদি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করে, তবে এসব বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে যাবে।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন হেলথ সার্ভিসেসের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, একিম ল্যাবরেটরিজের চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা, ব্র্যাকের পরিচালক ড. আকরামুল ইসলাম, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়ের উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

 

সর্বশেষ খবর