রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

একতরফা নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না : ফখরুল

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না, কারণ এদেশের মানুষ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা নির্বাচন দিতে চায় না, দিলেও নিজেদের মতো করে দিতে চায়। যে নির্বাচন কমিশন তারা গঠন করেছে তার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাত্রলীগ করতেন এবং গত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের পক্ষে তিনি কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগকে ২০১৪ সালের মতো একতরফা নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। সব দলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার গঠন করতে হবে। গতকাল বিকালে গাইবান্ধা পৌর পার্কে জেলা বিএনপির কাউন্সিল ও সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে কমিটি নির্বাচন করা হয়। এতে সভাপতি পদে ডা. মইনুল হাসান সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক পদে মাহমুদুন নবী নির্বাচিত হন। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোশারফ হোসেন, আতিক হাসান ও আনিসুর রহমান নাদিম নির্বাচিত হন।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের সঙ্গে চুক্তি করতে গিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করা চলবে না। ভারত আমাদের কাছ থেকে ট্রানজিট, পোর্ট, যাতায়াত সুবিধা নিয়েছে কিন্তু আমরা কী পেয়েছি? আমাদের তিস্তা নদীসহ পানি সমস্যা সমাধান, সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে হবে। আমরা সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কথা বললে বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরে। কিন্তু আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বিএনপি জঙ্গিবাদের ঘোর বিরোধী। ভয়াবহ জঙ্গিবাদকে রুখতে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এখন আওয়ামী লীগের ১০ টাকার চাল, গমসহ অন্যান্য দুর্নীতির কথা বললে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়। মিটিং করলে জঙ্গিবাদ, নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল বলে গ্রেফতার, মামলা করা হয়।

তিনি বলেন, নেতা-কর্মীদের ওপর এত হামলা, মামলা, নির্যাতন, গুম, খুনের পরেও তারা দমে যায়নি। এই হামলা, মামলা, নির্যাতনের শৃঙ্খল ভঙ্গ করেই বিএনপি নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র রক্ষা এবং মানুষের অধিকারের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু তা এদেশের জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না।

ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু। জেলা বিএনপি সভাপতি আনিসুজ্জামান খান বাবুর সভাপতিত্বে কাউন্সিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল খালেদ, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও সাবেক এমপি রওশন আরা ফরিদ, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাহেরুল ইসলাম রঞ্জু, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।

দীর্ঘ সাত বছর পর অনুষ্ঠিত এই জেলা কাউন্সিল ও সম্মেলনে জেলার সাতটি উপজেলা ও তিনটি পৌর এলাকার বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কাউন্সিলররা গোপন ব্যালটে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও তিনটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল গণনা করা হচ্ছিল।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর