সোমবার, ২০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘বাউফল থানায় আসামি নির্যাতনে এএসপি জড়িত’

নিজস্ব প্রতিবেদক

পটুয়াখালীর বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে এক আসামিকে নির্যাতনের ঘটনায় সার্কেল এএসপি সাইফুল ইসলামের সম্পৃক্ততা রয়েছে উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজি) দেওয়া এ প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়। তবে একই ঘটনায় বাউফল থানার ওসি আজম খান ফারুকী, ওসি তদন্ত লুত্ফর রহমান, এসআই ফেরদৌস আলম ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়- বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ফারুক হোসেন। আইজিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত, ভিকটিমের চিকিৎসা সনদপত্র, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পটুয়াখালী বাউফল থানার ২১ নম্বর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কে এম হাফিজুর রহমান বিজয়কে গত ১২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই ফেরদৌস আলম গ্রেফতার করে থানা হাজতে নিয়ে আসেন।

বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রাত সাড়ে ১২টায় থানা হাজত থেকে বের করে ভিকটিম বিজয়কে ওসির কক্ষে নিয়ে বেধড়ক মারপিটসহ শারীরিক নির্যাতন করেন। প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বাউফলে ওসির রুমে নির্যাতন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

 ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, থানা হাজত থেকে এক আসামিকে ওসির রুমে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আসামির নাম হাফিজুর রহমান বিজয়, বাবার নাম শামসুল হক খান। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন বিজয়ের মা। ২০ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট এএসপি ও ওসিকে তলব করে। পরে তারা আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগের ব্যাখ্যা দেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর