বুধবার, ২২ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভারতে বাংলাদেশি কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে আটক ১১

কলকাতা প্রতিনিধি

এক বাংলাদেশি কিশোরীকে (১৪) পাচার করে নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করার অভিযোগে গুজরাটের জুনাগড়ের মাংরোল শহর থেকে তিনজনকে আটক করেছে ভারতের পুলিশ। এর মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীও রয়েছে। সোমবার এদের আটক করা হয়। পাশাপাশি ওই কিশোরীকেই গত এক সপ্তাহে দুবার গণধর্ষণের অভিযোগে মাংরোল থেকে আটক করা হয়েছে আরও আটজনকে। এ মামলার তদন্ত দল জুনাগড় পুলিশের লোকার ক্রাইম ব্রাঞ্চের (এলসিবি) কর্মকর্তারা তাদের আটক করে। পাচারের অভিযোগে আটক মাংরোলের স্থানীয় বাসিন্দা বর্ষা লোহানা এবং আমেদাবাদের বাসিন্দা রাজু ওরফে শ্রীকান্ত মণ্ডল (৩০) ও জীবন মোধাকে (৩৪) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তারা জানায়, বর্ষার বাড়িতেই জোর করে বেশ্যাবৃত্তির কাজ করানো হতো ওই বাংলাদেশি কিশোরীকে। আর এজেন্ট হিসেবে কাজ করত বর্ষা। অন্যদিকে খদ্দের ধরে আনার কাজ করত রাজু ও শ্রীকান্ত। লোকার ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর এন কে ব্যাস বলেন, ‘বর্ষা, রাজু ও জীবনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ইমমোরাল ট্রাফিক প্রিভেনশন, প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স আইন (পসকো), অপহরণ ও অনৈতিকভাবে আটকে রাখার অভিযোগে বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি গণধর্ষণের অভিযোগে আটক আটজনকেও ধর্ষণ ও পসকো আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’

 উল্লেখ্য, ১৬ মার্চ মাংরোলের একটি বাস টার্মিনালে ওই কিশোরীকে একা কাঁদতে দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। কিন্তু ভাষাগত সমস্যার কারণে ওই কিশোরীর কথা বুঝতে না পারায় তাকে তুলে দেওয়া হয় স্থানীয় থানার হাতে। এরপর জানা যায়, ওই কিশোরীকে কাজের লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। পরে আমেদাবাদ হয়ে মাংরোলে এসে পৌঁছায় ওই কিশোরী। ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, গত এক সপ্তাহে দুবার গণধর্ষণ করা হয় তাকে। প্রথমবার আমেদাবাদে সাতজন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে। এরপর জুনাগড়ের মাংরোল শহরে ১১ জন মিলে তার ওপর পাশবিক অত্যাচার করে। তার অভিযোগ, তারই এক আত্মীয় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁর বাসিন্দা সাই নামে এক ব্যক্তির কাছে তিন হাজার রুপিতে তাকে বিক্রি করে দেয়। বর্তমানে জুনাগড়ের একটি হোমে রাখা হয়েছে ওই কিশোরীকে।

সর্বশেষ খবর