শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে দেশের স্বাধীনতা হুমকিতে পড়বে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর বিএনপির যৌথ প্রস্তুতি সভায় তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঘোষিত শোভাযাত্রা সফল করতে এ সভা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কোনো চুক্তি হলে তা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। বিএনপিও দেশের অস্তিত্বের প্রশ্নে আপস করবে না। কারণ এতে দেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে।

মওলানা ভাসানী মিলনায়তনে বিএনপির মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমেদ, কাজী আবুল বাশার, ইউনুস মৃধা ও মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু প্রমুখ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে কেন্দ্র করে যে বিষয়গুলো আলোচনা হচ্ছে সেগুলো জাতিকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। কী চুক্তি সই হবে, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে যা প্রকাশিত হচ্ছে, তা উদ্বেগের। প্রধানমন্ত্রীর ভারতে যাওয়ার প্রয়োজন আছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো সমাধান করতে হবে। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তি না হলে কোন চুক্তি হবে? সরকার রাজনৈতিকভাবে জঙ্গিবাদ ব্যবহার করে বিএনপিকে ঘায়েল করতে চায় বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সব দল ও মতের মানুষকে এক করতে হবে। অথচ অবস্থা এমন যে, জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা বলা যাবে না। কোনো ঘটনা ঘটলেই বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলাটা একটা সমঝোতার (আন্ডারস্ট্যান্ডিং গেম) খেলা। অর্থাৎ তাদের গেমটা হলো তুমি আমাকে গালি দিবা, আমি  তোমাকে গালি দেব। তাহলে বাংলাদেশের মানুষ মনে করবে তুমি আমাদের দালাল নও। কারণ বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ লোকই এখন আওয়ামী বিরোধিতা করতে গিয়ে ভারতবিরোধী হয়ে গেছে। তাই ভারত অনুধাবন করেছে এবং শেখ হাসিনাকে বলেছে, তুমি আমাদের গালাগালি করো, মানুষের চিন্তা-ভাবনাটাকে অন্যদিকে নিয়ে যাও।

সর্বশেষ খবর