সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

বঙ্গভবনে মিলনমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে বসেছিল বিভিন্ন দলের রাজনীতিক, কূটনীতিক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার এবং শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলা। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার পত্নী রাশেদা খানম বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। গতকাল বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে সরগরম ছিল বঙ্গভবনের সবুজ প্রাঙ্গণ। লাল-সবুজ পাতা দিয়ে তৈরি একটি পতাকা অনুষ্ঠানে আনে ভিন্নমাত্রা। খ্যাতনামা শিল্পীদের দেশাত্মবোধক, লোকগান এবং শিশুশিল্পী ও সশস্ত্র বাহিনীর বাদক দলের সংগীতের মূর্ছনা অনুষ্ঠানে অতিথিদের মুগ্ধ করে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল পৌনে ৫টায় স্ত্রী রাশিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনের মাঠে আসেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে পৌঁছান তার কিছুক্ষণ আগে। রাষ্ট্রপতি সস্ত্রীক মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সংগীত। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কুশল বিনিময় করেন। পরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন দুজনেই। এরপর বঙ্গভবনের মাঠে ভিভিআইপি এনক্লোজারে স্বাধীনতা দিবসের কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

পরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশি অতিথি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, গণমাধ্যমের সম্পাদক, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা। অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও গওহর রিজভী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, হুইপ শাহাব উদ্দিন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানও এসেছিলেন বঙ্গভবনের এই অনুষ্ঠানে।

বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিভিআইপি এনক্লোজারে বসেন। বিএনপির সাবেক নেতা শমসের মবিন চৌধুরী এ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। আরও ছিলেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ও ফখরুল ইমাম। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইক, ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, পাকিস্তানের হাইকমিশনার রাফিউজ্জামান সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন অতিথি হয়ে।

শিল্পী শাহীন সামাদ, খুরশিদ আলম, এস আই টুটুল, রাজীব, অনুপমা মুক্তি ও দেবলীনা গানের সুরে মোহিত করেন সবাইকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর