বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ

মাদারীপুরের ওসি এসআই প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

মায়েদের আটকে রেখে দুগ্ধপোষ্য দুই শিশুকে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মাতৃদুগ্ধ পান থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে মাদারীপুরের দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালত মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ ও এসআই মাহাতাব হোসেনকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে হাই কোর্টের নির্দেশে গতকাল সকালে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। কিন্তু আদালত ক্ষমার আবেদন নাকচ করেছে। এ ছাড়া ৮  মের মধ্যে অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওয়াজিয়া করিম ফিরোজ, শোভানা বানু ও নাজনীন আরা আহমেদ। দুই পুলিশের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী সাজাওয়ার হোসেন ও এ বি এম আলতাফ হোসেন। গত ১৪ মার্চ বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘দারোগার ক্রোধের শিকার দুই মায়ের ১৩ ঘণ্টা ভোগান্তি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া এ বিষয়ে আরও সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০ মার্চ এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রানা কাওসার। ২১ মার্চ আদালত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বিতর্কিত একটি জমির তদন্ত কাজে যান থানার এসআই মাহাতাব হোসেন। এ সময় তিনি জমির পাশের বাড়ির খালেক বেপারীর  ছেলে পনির হোসেনের কাছে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চান। পনির কিছু জানেন না বলে জানান। এতে দারোগা মাহাতাব ক্ষিপ্ত হয়ে পনিরকে থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পনির পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে মাহতাব আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে ফোন করে থানা থেকে তিন গাড়ি পুলিশ এনে পনিরের বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। এ সময় পনির ও তার বড় ভাই-বোনের ঘরে মূল্যবান আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় হাঁড়ি-পাতিল, থালাবাসনসহ রান্নার চুলাও ভেঙে ফেলে। পনিরের স্ত্রী ঝুনু বেগম ও তার বড় ভাইয়ে স্ত্রী আকলিমা বেগমকে বেলা ১১টার দিকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তখন ঝুনু বেগমের তিন মাসের শিশু ও আকলিমার ১৮ মাসের শিশুকে কোল থেকে রেখে যেতে বাধ্য করে। পরে রাত ১২টার দিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে  ছেড়ে দেয়।

সর্বশেষ খবর