রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ

ছাত্রলীগের চাপে ৮৭ লাখ টাকা ফেরত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ছাত্রলীগের দাবির মুখে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ৮৭ লাখ টাকা  ফেরত দেবে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ কর্তৃপক্ষ। গতকাল দুপুরে ছাত্রলীগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের যৌথ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। জানা যায়, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের ২৬১ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বেতন ১ হাজার, ল্যাব ফি ৫ হাজার ও সেশন ফি বাবদ ৫ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করে।

নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুই ধরনের প্রতারণা করেছে। তারা ভর্তি হয়েছিল চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজে। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষায় তাদের প্রবেশপত্র দেওয়া হয় সিটি বিজ্ঞান কলেজের নামে। তাছাড়া বোর্ড নির্ধারিত ফির বাইরে তারা বেতন, সেশন ও ল্যাব ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করে।

জঙ্গি দম্পতির তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আটক জঙ্গি দম্পতি জসিম ও আরজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃতীয় দফায় ১২ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। গতকাল চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।

 পুলিশ পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) এইচ এম মশিউর রহমান জানান, সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা এবং সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের হওয়া দুই মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৃথকভাবে ২৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। আদালত হত্যা মামলায় সাত দিন এবং সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গতকাল আদালতে হাজির করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ।

জানা গেছে, সীতাকুণ্ড পৌরসভার নামারবাজারের সাধন কুটিরে অভিযানের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় ১৭ মার্চ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমবার ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। এরপর ২৮ মার্চ শুধুমাত্র সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌরসভার নামারবাজারে সাধন কুটির থেকে জঙ্গি দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ছায়ানীড় ভবনের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায়। ওই ভবনে ‘অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬’ নামে ২০ ঘণ্টার অভিযানে ২১ জনকে বন্দীদশা থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চার জঙ্গিসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  অভিযানে দুই পুলিশ আহত হন। পৃথক জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় পুলিশের উপর হামলা, বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটানো এবং অস্ত্র-বিস্ফোরক মজুদ রাখার জন্য চারটি মামলা হয়েছে।  এর মধ্যে দুটি সন্ত্রাস দমন আইনে এবং একটি অস্ত্র আইনে ও আরেকটি হত্যা মামলা। প্রত্যেক মামলায় নামারবাজার থেকে গ্রেফতার হওয়া দম্পতি জহিরুল ইসলাম জসিম এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা আরজিনা এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর