সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
সমুদ্র উত্তাল যেতে পারছে না কোনো নৌযান

বঙ্গোপসাগরে বিদেশি জাহাজে খাদ্য সংকটে ৪৫ নাবিক

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

বঙ্গোপসাগরের মংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় কয়লাবোঝাই একটি বিদেশি জাহাজে দেশি-বিদেশি ৪৫ নাবিক খাদ্য ও পানি সংকটে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। জাহাজটির নাবিকরা অনাহারে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকায় বিদেশি ওই জাহাজটিতে খাবার পানি ও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যে নাবিকদের জন্য খাদ্য ও কয়লা খালাস করতে যাওয়া চারটি লাইটার কার্গো সাগর উত্তাল থাকায় ওই জাহাজটির সঙ্গে ভিড়তে না পেরে সেগুলো মংলায় ফিরে এসেছে। মংলাবন্দর সূত্র জানায়, পানামা পতাকাবাহী এমভি ‘স্টার অপায়া’ নামের বিদেশি জাহাজটি প্রায় ২৭ হাজার ৪৫০ মে. টন কয়লা নিয়ে গত ১২ মার্চ বঙ্গোপসাগরের মংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ের শেষ বয়া এলাকায় নোঙ্গর করে। গত ২৪ মার্চ জাহাজটির কয়লা খালাস কাজে শ্রমিক নিয়োগসহ দুটি লাইটার জাহাজ পাঠানো হয়। পরে জাহাজে থাকা শ্রমিকের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও খালাস কাজের জন্য আরও চারটি লাইটার পাঠানো হলেও সমুদ্র উত্তাল থাকায় জাহাজের সঙ্গে ভিড়তে না পেরে সেগুলো মংলায় ফেরত আসে। মংলা থেকে বিদেশি ওই জাহাজে কাজ করতে যাওয়া স্থানীয় ২২ শ্রমিক-কর্মচারীর খাদ্য, পানীয় ও প্রয়োজনীয় মালামাল গত ২৮ মার্চ ফুরিয়ে যায়। অন্যদিকে দীর্ঘ সময় সমুদ্রে অবস্থান ও বন্দর চ্যানেলে না আসতে পারায় জাহাজটিতে থাকা বিদেশি ২৩ নাবিকও পানি এবং খাদ্য সংকটে পড়েছেন। দেশি-বিদেশি জাহাজের ৪৫ জন নাবিক বর্তমানে চরম খাদ্য সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। রবিবার দুপুরে ওই জাহাজের ক্রেন ড্রাইভার মাসুম মোবাইল ফোনে জানান, বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজটিতে ২৩ জন ক্রু রয়েছেন। তাদেরও প্রয়োজনীয় রসদ না থাকায় শ্রমিকদের খাদ্য সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ অবস্থায় অনাহারে থেকে দেশীয় তিন ক্রেন ড্রাইভার মোয়াজ্জেম, মাসুম ও বাদশা মিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ওই জাহাজটিতে শ্রমিক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খুলনা এজেন্সির মংলার ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, বিদেশি জাহাজটিতে থাকা দেশীয় শ্রমিকদের জন্য বিকল্প পন্থায় বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় রসদ পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর