মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি

হাই কোর্টেও জামিন হয়নি বিমান প্রকৌশলীর

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় করা মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরীর জামিন দেয়নি হাই কোর্ট। গতকাল তার জামিন আবেদনটি উপস্থাপন হয়নি (নট প্রেসড) মর্মে খারিজ করা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। বিডি নিউজ। দেবেশ চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সুব্রত চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বলেছে এ মামলায় এখনো অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়নি। অভিযোগপত্র হওয়ার আগে জামিন চাওয়ার সুযোগ নেই। পরে আমাদের জামিন আবেদন নট প্রেসড বলে আদালত রিজেক্ট করে দিয়েছে। গত বছর ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। মেরামত শেষে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের উদ্দেশে যাত্রা করে উড়োজাহাজটি। উড়োজাহাজের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাঙ্কের একটি নাট ঢিল থাকায় ওই বিপত্তি ঘটে। এর পেছনে নাশকতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিমান মন্ত্রণালয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তিনটি তদন্ত কমিটি করে। বাংলাদেশ বিমানের প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ঘটনার তিন দিনের মাথায় বিমানের পাঁচ প্রকৌশলীসহ ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেবেশ চৌধুরীসহ আরও তিন প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর ২০ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় বিমানের ৯ কর্মকর্তাকে আসামি করে একটি মামলা হয়।

বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) এমএএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার পর দিন রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সাতজনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে দেবেশ চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করেন। নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করলেও তা মঞ্জুর করেনি আদালত।

সর্বশেষ খবর