গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমাবেশে নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভারতের কাছ থেকে অস্ত্র নয়, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চায়।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মোর্চার বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, নিরাপত্তা স্মারকের মাধ্যমে দেশকে ভারতের সামরিক পরিকল্পনার অংশ বানানো চলবে না। দেশের মধ্যে কোনো আলোচনা না করে, অস্বচ্ছতা ও গোপনীয়তার মধ্যে তড়িঘড়ি করে যেভাবে এ সামরিক সহযোগিতা স্মারক হতে যাচ্ছে, তা জনমনে সন্দেহের উদ্রেক করেছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কারও ওপর নির্ভরশীলতা বা কারও সঙ্গে বিরোধ চায় না, তারা সবার সঙ্গে সমমর্যাদা ও ন্যায্যতার ভত্তিতে শান্তিপূর্ণ-সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায়। মোর্চার সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য আ ক ম জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির  কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ। তারা বলেন, তিস্তার পানিবণ্টনে কোনো অগ্রগতি নেই, পদ্মায় ধু-ধু বালুচর, ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি সরিয়ে নেওয়ার ফলে বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের মানুষের এ জীবন-মরণ সমস্যায় ভারত কোনো ছাড় দিচ্ছে না। অথচ মহাজোট সরকার ভারতের সমর্থন পেতে স্বল্প শুল্কে ট্রানজিট, নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ নানা একতরফা সুবিধা তাদের দিয়ে চলেছে।