একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধী বিএনপির সাবেক নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আইনজীবী ফখরুল ইসলামের জামিন বহাল রয়েছে। জামিন মঞ্জুর করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এর ফলে ব্যারিস্টার ফখরুলের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। আদালতে ফখরুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও জহিরুল ইসলাম সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ৪ এপ্রিল ফখরুলকে এক বছরের জামিন দেয় হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ৬ এপ্রিলের আদেশে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ওই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার রায় ফাঁসের মামলায় ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সাকার স্ত্রী ও ছেলেকে খালাস দিয়ে আইনজীবীসহ পাঁচজনকে কারাদণ্ড দেয় বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল। মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। তবে ওইদিন রায় ঘোষণার আগেই সাকা চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন।
তারা রায়ের খসড়া কপি সাংবাদিকদের দেখান। এ ঘটনায় ওই বছরের ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় জিডি করেন, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়। উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।
