শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

বৈশাখে বিদেশি ফলের সমাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঙালির দেশীয় সংস্কৃতি পয়লা বৈশাখে রাজধানীতে বিদেশি ফলের সমাহার ঘটেছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে গতকাল ক্রেতাসাধারণের নজর কাড়ে বায়তুল মোকাররমের উল্টো দিকে। সেখানে থাইল্যান্ড, ভারত, চীন, জর্দান, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের ফলফলাদির সংগ্রহ একটু বেশিই ছিল। আর বৈশাখকে সামনে রেখে বিক্রেতারা সেখানে বাড়তি কিছুর পসরা বসিয়েছেন। আবার কিনতে ভিড় জমে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের।  বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বিক্রির আয়োজন বেশি থাকলেও তারা কোনো ফরমালিন মেশানো ফল এনে কিংবা আনার পর মিশিয়ে বিক্রি করেন না।  সরেজমিন দেখা যায়, আজাদ প্রোডাক্টসের সামনের রাস্তার দুপাশে ১০-১২টি ফলের দোকান। সেখানে দেশি ফলের বদলে বিদেশি ফলের বিক্রি হয় বেশি। এখানকার বিক্রেতারা পাইকারি দরে সদরঘাটের বাদামতলী থেকে কিনে এনে খুচরা বিক্রি করে থাকেন। আর বিদেশি ফলমূলের মধ্যে রয়েছে হলুদ সাম্মাম। যা প্রতি কেজির দাম ৩০০ টাকা। ভাওয়াল রাজার বড় বেল বিক্রি করা হয় ৩০০-৬০০ টাকা দামে। দুরিয়াম অর্থাৎ থাই কাঁঠাল বিক্রি করা হয় ৭০০ টাকা কেজিতে। ভারতীয় আম ২০০-২৫০ টাকা প্রতি কেজি। নাসপাতির দাম প্রতি কেজি ১৬০ টাকা। থাই আমের দাম ৫০০ টাকা কেজি। লাল ডাগন ৬০০ টাকা কেজিতে আর সাদা ডাগন ৫০০ টাকা। হলুদ তরমুজের দাম কেজি প্রতি ১৫০ টাকা। জর্দানি খেজুর ও রামবুতান অর্থাৎ থাই লিচুর দাম ২০০০ টাকা কেজি। ফিলিস্তিনি খেজুরের দাম প্রতি কেজি ১৪০০টাকা। দক্ষিণ আফ্রিকার লাল আপেল বিক্রি হয় ১৬০ টাকা কেজি এবং সাদা আপেল ১৫০ টাকা। আমেরিকান আঙ্গুরের দাম ৪০০ টাকা কেজি, থাই কাঁচামিঠা আমের দাম ৫০০-৬০০ টাকা প্রতি কেজি। নাস ফলের দাম প্রতি কেজি ৬০০ টাকা। দেশীয় তরমুজ বিক্রি করা হয় আকার ভেদে ৫০০-৭০০ টাকা করে।  মো. জাহাঙ্গীর নামে এক ফল বিক্রেতা বলেন, আমরা সারা বছর জুড়ে বারোমাসি ফল বিক্রি করে থাকি। তবে বৈশাখকে সামনে রেখে চালান বেশি আনা হয়েছে। এখানে যেসব ফল আছে তা বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হয়। আমরা সেগুলো বাদামতলী থেকে এনে বিক্রি করে থাকি। তবে কোনো ফলে কোনো ভেজাল কিংবা ফরমালিন মেশানো আমাদের কেউই এখন পর্যন্ত করেনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর