সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

সার্কে বাণিজ্য বাড়াতে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি চান ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা—সার্কভুক্ত দেশগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির বাণিজ্য বাড়াতে এবং সাফটা কার্যকরের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি চান এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্বের অন্য অঞ্চল যেখানে নিজেদের মধ্যে বড় অংশের বাণিজ্য হয়, সেখানে সার্ক দেশগুলোতে নিজেদের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৫ শতাংশ। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন— এফবিসিসিআই এবং সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ—সার্ক সিসিআই যৌথভাবে আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ব্যবসায়ী নেতারা এসব কথা বলেন। এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা ব্যবসায়ী নেতা সালমান এফ রহমান। আরও বক্তব্য দেন সার্ক সিসিআই সভাপতি সুরাজ বৈদ্য, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম, পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তৈমুর তাজমহল, ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সুলেমান খান, নেপালের গবেষক খ্রিশিজ দাহাল, শ্রীলঙ্কার গবেষক কিথমিনা হেওয়াজ প্রমুখ।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী, গবেষক ও সরকারি কর্মকর্তারা। আলোচনা সভায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন অংশীজনরা।

সালমান এফ রহমান বলেন, সার্ক দেশগুলোর মধ্যে সীমানা মানুষের তৈরি। সার্কভুক্ত দেশগুলো এক জোট হলে, নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়বে। তাতে অবিশ্বাস্য প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হবে।

সুরাজ বৈদ্য বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ৯৫ শতাংশ মানুষ আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ক-এ বিশ্বাস করেন। এই অঞ্চলের ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ মানুষ ভালো। শূন্য দশমিক ১ শতাংশ সন্ত্রাসবাদী। এদের কারণে ভালো মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সার্ক দেশগুলোর ভালো মানুষেরা এই অঞ্চলে অবাধে চলাচল করতে পারে না। এটা কি সার্কের আশাবাদের প্রতি ন্যায্য আচরণ? সন্ত্রাসীরা কিন্তু ঠিকই ঘুরে বেড়ায়। তাদের ভিসার প্রয়োজন হয় না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর