সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের দুই জেলার কোন্দল মেটাতে কেন্দ্রের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও দলীয় এমপিদের নিজ নিজ এলাকার কোন্দল দ্রুততম সময়ের মধ্যে মিটিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। গতকাল সন্ধ্যায় ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দুই জেলার শীর্ষ নেতা, এমপিদের ডেকে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের কোন্দল নিরসনে নিজেদের উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।  বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি ছোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন, সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগর টগর উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দীন খানসহ কুষ্টিয়ার সরকারদলীয় এমপি ও জেলার সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও সাধারণ সম্পাদক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হককে ডেকে আনা হয় ধানমন্ডিতে। আগামী ৩০ এপ্রিল দক্ষিণ জেলার বর্ধিত সভার তারিখ নির্ধারণ করা হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম।

বৈঠক সূত্র জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলার দুই এমপিকে। ছেলুন জোয়ার্দার ও আলী আজগরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র কোন্দল রয়েছে। বৈঠকেও কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই একে অপরকে দোষারোপ করে বক্তব্য রাখেন ওই দুজন। সব শুনে কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের এখন থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার নির্দেশ দেন। ঢাকা থেকে জেলায় ফিরে বর্ধিত সভা ডেকে দুই নেতাকে একসঙ্গে কাজ শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছেলুন জোয়ার্দার বলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে বলা হয়েছে বৈঠকে।

অপরদিকে কুষ্টিয়া জেলার একটি থানা নিয়ে সমস্যা ছিল বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। ওই থানার সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে নেতাদের বলা হয়েছে।

সূত্র আরও জানান, যেসব জেলায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে ওইসব জেলার সঙ্গে বসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গতকালের বৈঠকের মধ্য দিয়ে। আজ সোমবার যশোর জেলার সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। এই বৈঠকগুলো ধারাবাহিকভাবে চলবে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে দলকে গতিশীল করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর