মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

দুর্নীতি মামলায় কক্সবাজারের সাবেক ডিসি কারাগারে

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মহেশখালীতে বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে দুদকের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার অন্যতম আসামি। এর আগে কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাফর আলমকে ১০ মে ঢাকায় আটক করে দুদক। এ মামলায় এ নিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো। আদালত সূত্রে জানা যায়, চার সপ্তাহের জামিন শেষে রুহুল আমিন গতকাল কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে বিচারক তৌফিক আজিজ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 উচ্চ আদালত থেকে প্রাপ্ত তার জামিনের মেয়াদ রবিবার শেষ হয়। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট মো. আবদুর রহিম ও অ্যাডভোকেট মো. সিরাজ উল্লাহ।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৯। আর ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল মামলার চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের চট্টগ্রাম উপপরিচালক সৈয়দ আহমেদ রাসেল।

এর আগে কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাফর আলম ১০ মে ঢাকায় এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, অ্যাডভোকেট নুর মোহাম্মদ সিকদার ও কক্সবাজার রাজস্ব বিভাগের সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলামকে ৩ এপ্রিল দুদক টিম গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম জানান, আসামিরা মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ভুয়া মালিকানা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় মাতারবাড়ীর কায়সার চৌধুরী তদানীন্তন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, এডিসি জাফরসহ ২৩ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দুদককে দায়িত্ব দেয়। দুদকের চার্জশিটে ১৩ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ২৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা— এই ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ আহমেদ রাসেল।

তিনি জানান, কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ২৩৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ২৫টি অস্তিত্বহীন চিংড়ি ঘেরের ক্ষতিপূরণ বাবদ দেখিয়ে ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা ক্ষতিপূরণ নিজেদের হাতে নেয় ৩৬ জনের একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট এই টাকা থেকে কৌশলে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা তুলে নেয়। বাকি টাকার জন্য ইস্যু করা হয়েছিল আরও পাঁচটি চেক। তবে মামলা করার পর পাঁচটি চেকের আওতায় নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের বাকি টাকা আটকে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর