বুধবার, ২৪ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

অনন্ত হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন ২০ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

মামলার তিন আসামি পলাতক থাকায় বিজ্ঞান লেখক ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি। গতকাল সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য থাকলেও শুনানি শেষে আদালত আগামী ২০ জুন অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করেছে বলে জানিয়েছেন পিপি মফুর আলী। মফুর আলী জানান, ৮ মে মামলার আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি এবং ২৩ মে চার্জ গঠনের দিন ঠিক করে। কিন্তু সমন ফেরত না আসায় চার্জ গঠন হয়নি। ২০ জুন পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গত বছরের ২৮ আগস্ট ৩০২ ও ৩০ ধারায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রটি আদালতে উপস্থাপন করা হলে পর্যবেক্ষণ আদেশে আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে সন্ত্রাসবিরোধী ধারা যুক্ত করে ১৮ জানুয়ারি সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী। আগের অভিযোগপত্রে পাঁচজনকে আসামি করা হলেও সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে উগ্রপন্থি ব্লগার সাফিউর রহমান ফারাবীর নাম। আর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ফটোসাংবাদিক ইদ্রিসসহ ১০ জনকে। অভিযুক্তরা হলেন  আবুল হোসেন ওরফে আবুল হোসাইন (২৫), ফয়সাল আহমদ (২৭), হারুন আর রশিদ (২৫), মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহি (২৪), আবুল খায়ের রশিদ আহম্মদ (২৪) ও সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০)। এর মধ্যে আবুল হোসেন, ফয়সাল আহমদ ও হারুন আর রশিদ পলাতক।

২০১৫ সালের ১২ মে সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে সিলেট নগরের সুবিদ বাজারের নূরানী আবাসিক এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে অনন্ত বিজয় দাশকে (৩২)। পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বস্তুবাদ ও যুক্তিবাদ নিয়ে ব্লগে লিখতেন। তার লেখা ও সম্পাদিত বিজ্ঞানবিষয়ক বই রয়েছে। বিজ্ঞানবিষয়ক ছোটকাগজ ‘যুক্তি’ নামে একটি পত্রিকা নিয়মিত সম্পাদনা করতেন তিনি। সিলেটে পরিচালিত বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলেরও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অনন্ত বিজয়। ঘটনার এক দিন পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চার দুর্বৃত্তকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকার সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।

সর্বশেষ খবর