মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রেম করার শাস্তি

নির্যাতনের পর স্কুল ছাত্রকে চুল কেটে আধা ন্যাড়া

দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রধান শিক্ষকের মেয়ের সঙ্গে প্রেম করার অভিযোগে এক স্কুল ছাত্রকে নির্যাতন করে মাথার চুল কেটে অর্ধ ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। ন্যাড়া করার সময় ছাত্রের হাত-পা বেঁধে নেওয়া হয়। এ ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে।

বিলম্বে পাওয়া খবরে জানা গেছে, গত ২৪ মে রাতে ঝাড়বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেন উজ্জ্বল (১৫) এ ঘটনার শিকার হয়েছে। সে শতগ্রাম ইউপির রাঙ্গালীপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। এ ব্যাপারে সাব্বিরের বড় ভাই খোকন মুঠোফোনে বলেন, ‘ঝাড়বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহেদ আলীর মেয়ে এবং আমার ভাই ঝাড়বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই শ্রেণিতে পড়ার সুবাদে তাদের কথাবার্তা বা সম্পর্ক হতে পারে। কিন্তু ২৪ মে রাত ৮ টার দিকে আমার ভাই সাব্বির মোবাইল ফ্লেক্সির জন্য পাশের জামতলী বাজারে যায়। ফিরে আসার সময় তাকে ঝাড়বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদ আলীর বাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সাব্বিরকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়। তারপর চুল কেটে আধা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে আমরা কাশিডাঙ্গার বর্তমান মেম্বার সালামকে নিয়ে ওই বাড়িতে যাই। তারপর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সাব্বিরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।’ তিনি আরও জানান, পরে এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করা হলে তিনি ‘বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে’ এবং বলেন, ‘বাড়াবাড়ি করলে তোমার ভাইয়ের পরিণতি খারাপ হবে।’

এই প্রতিবেদক এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে জানান, ‘সাব্বির ২৪ মে রাতে আমার ভাইয়ের মেয়ের সম্ভ্রমহানির জন্য বাড়িতে প্রবেশ করেছিল। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন তাকে আটক করে মাথার চুল কেটে আধা ন্যাড়া করে দিয়েছে।’

বীরগঞ্জ থানার এসআই আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর