বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেছেন, অর্থমন্ত্রী কোন যুক্তিতে বললেন, এক লাখ টাকা থাকলেই সম্পদশালী। ব্যাংক খাতে লুটপাট হচ্ছে। দেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে বিদেশে। কিন্তু লুটপাটকারী ও পাচারকারীদের বিচার হচ্ছে না। উল্টো অর্থমন্ত্রী প্রতি বছরের বাজেটে জনগণের করের টাকা থেকে ব্যাংকগুলোর জন্য মূলধনের নামে বরাদ্দ দিয়ে ঋণ খেলাপিদের উৎসাহিত করছেন। গত কয়েক বছরে তিনি ১৪ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা মূলধন দিয়েছেন ব্যাংকগুলোকে। আর এক বছরেই দেশ থেকে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এসব টাকায় কানাডা, মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ করা হচ্ছে। কানাডার একটি এলাকার নাম হয়ে গেছে ‘বেগমগঞ্জ’। কারণ, ওই এলাকায় বাংলাদেশি বেগম সাহেবারা থাকেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। পীর ফজলুর রহমান আরও বলেন, ঋণের নামে ব্যাংক লুট হচ্ছে প্রতি বছর। চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ২৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। অথচ প্রতি বছরের বাজেটে ব্যাংকগুলোকে করের টাকা থেকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। আর এভাবে ঋণ খেলাপিদের উৎসাহিত করছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি এক সময় বলেন, ৪০ হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই না।

তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও রিজার্ভ চুরির মতো ঘটনা ঘটে না। সংসদে দাঁড়িয়ে গতবার অর্থমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, এ ঘটনার প্রতিবেদন তিনি প্রকাশ করবেন। কথা রাখেননি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটিতে কাদের নাম এসেছে, জানা গেল না।