রবিবার, ১১ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা
আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার

দুই দলের দুই মত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে দুই ধরনের মত প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা। গতকাল এফডিসিতে আয়োজিত ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার’ বিষয়ক এক সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এমন মতামত দেন তারা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে সরকার চাপ প্রয়োগ করবে না। তবে নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে আমরা তা স্বাগত জানাব। আমরা চাই নির্বাচন কমিশন সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করুক।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, প্রযুক্তি এক শতাংশ ভুল করলেও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। তাই যন্ত্র ব্যবহারের সঙ্গে যে মানুষ সম্পৃক্ত আছেন, তাদের সততা ও স্বচ্ছতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে বড় বিষয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত ইভিএমের ব্যবহার বা ইভিএম মেশিন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে উন্মুক্ত করেনি। যে কারণে এ মেশিনের কার্যকারিতায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সম্পর্কে কেউ জানেন না। ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বাধিক ক্ষমতা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ নৈতিক শক্তি দিয়ে এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। নির্বাচন সহায়ক সরকার সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি এ বিষয়ে দাবি করলেও এখন পর্যন্ত এ ধরনের সরকারের কোনো রূপরেখা উপস্থাপন করেনি। তবে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে সরকার সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ইভিএম ছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠু করার অন্যান্য উপাদানের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত করা না গেলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না, বরং বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু ২০১৪ সালের নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি, তাই বর্তমান সরকার কোনোভাবেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। তিনি উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ এই দুই নেতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিমত প্রকাশ করলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন।

 এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। তিনি বলেন, দেশের প্রধান দুই দলই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে দেখতে চায়।

প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিককে পরাজিত করে বিরোধী দল প্রাইম ইউনিভার্সিটি বিজয়ী হয়। এতে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস এবং যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. এস এম মোর্শেদ। প্রতিযোগিতা শেষে বিতার্কিকদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর