কুষ্টিয়ায় বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী (১৮) শ্লীলতাহানির লজ্জা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার চেঁচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি। জড়িত ব্যক্তিকেও পুলিশ আটক করতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী আশা খাতুন বাড়ির পাশেই মেহগনি বাগানে খেলছিল। এসময় প্রতিবেশী মিলন আলী (২৮) নামে এক যুবক আশাকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আশা মিলনের রোষানল থেকে বের হয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের আকার-ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করে আশা। একপর্যায়ে আশা তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিলনের বাড়িতে যায়। সেখানে মিলনকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। বিকালের দিকে নিজ ঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে দড়িতে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আশাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশার মা কাজলী খাতুন জানান, ‘মেয়ে আমার সহজে কাঁদে না। দুপুরে বাড়ি এসে দুচোখ দিয়ে পানি ঝরে। কাঁদতে থাকে। একজন তার মুখ চেপে ধরার বিষয় ইশারায় দেখায়। পরে ওই ছাওয়ালের বাড়িতে যাওয়া হয়। তাকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। এরপর ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করে।’
ঘটনার পর এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা মিলনের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি জানায়। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যায়। মিলনের বাড়িতে গিয়ে এক নারীকে আটক করে থানায় নেয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।