পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে চরম খেসারত দিতে হলো এক ফটো সাংবাদিককে। পুলিশ তার পকেটে ১০টি ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে গ্রেফতার করে। থানায় নিয়ে চরম নির্যাতনের পর কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত ২৭ জুন রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচাবাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার শিকার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অবজারভারের ফটো সাংবাদিক আশিক মোহাম্মদ। এখনো তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। ঘটনাটি ঈদের ছুটির মধ্যে হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হতে সময় লাগে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেওয়া হলেও তার সন্ধান মিলছিল না। গতকাল পল্টন থানায় যোগাযোগের পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। আশিককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদ ও তার মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ফটো সাংবাদিকরা। সহকর্মী ও স্বজনরা অভিযোগ করেন, পল্টন থানার এসআই আশরাফ তল্লাশির নামে আশিককে আটক করে মারধর করেন। জানা গেছে, ঈদের পরদিন ২৭ জুন রাতে একটি দাওয়াতে অংশ নিয়ে দক্ষিণ বনশ্রীর বাসায় ফিরছিলেন ফটো সাংবাদিক আশিক। শান্তিনগর কাঁচাবাজারের কাছে তার মোটরসাইকেল থামায় পল্টন থানার একটি টহল দল। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আশিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পুলিশ ভ্যানে তুলে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরানো হয় রাত ২টা পর্যন্ত।
থানায় নিয়ে কয়েক দফা মারধরের পর দাবি করা হয় এক লাখ টাকা ঘুষ। আশিক টাকা দিতে অপারগতা জানালে ইয়াবাসহ গ্রেফতারের কথা বলে চালান দেওয়া হয়।
আশিক নিউ নেশন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক ফরহাদ হোসেনের ছেলে। তিনি এখন অসুস্থ। ২৭ জুন রাতে আশিক বাসায় না ফেরার পর তার স্বজনরা তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। তার অফিসেও ঘটনাটি জানানো হয়। আশিক ইয়াবার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন খবরটি শুনে দিশাহারা হয়ে পড়েন আশিকের মা। তার অসুস্থ বাবাকে এখনো তিনি বিষয়টি জানাননি। এদিকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ব্যাপারে পল্টন থানার এসআই আশরাফ বলেন, তার কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। মারধর করা, ইয়াবা দেওয়া সহজ কথা নয়। সে সাংবাদিক কিনা সেটা জানি না।