সুন্দরবনের কাছে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার ইউনেস্কোর দেওয়া সব শর্ত পূরণ করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে রামপাল নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির বিষয়ে ইউনেস্কো তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এ প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণের আগে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠানটি বেশ কিছু শর্তও দিয়েছে। সরকার ইউনেস্কোর দেওয়া সব শর্ত পূরণ করবে। এর আগে সকালে একই স্থানে কাপ্তাইতে ৭.৪ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার নির্মাণের লক্ষ্যে ইপিসি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ক্লিন এনার্জির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হবে। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় কার্বন বা সালফার বা নাইট্রোজেন নিয়ন্ত্রিতভাবে নিঃসরণের বিষয়ে সরকার সজাগ। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমদানিকৃত বিদ্যুৎও ক্লিন এনার্জি হিসেবে পরিগণিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে সোলার পার্ক করা হচ্ছে, সেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এ সময় তিনি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন, ব্যবহার ও প্রসারে কাজ করার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সচিব মীনা মাসহুদ উজ জামান এবং জেডটিই করপোরেশনের বাস্তবায়ন পরিচালক লি উই এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। গ্রিডে সংযোজন হতে যাওয়া এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন মূল্য ৫.৪৮ টাকা। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এ প্রকল্পটি করা হচ্ছে। জুলাই ২০১৮ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ ও জেডটিই করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝাং ইয়ানমেং।