বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

গুলিস্তান পোড়া মার্কেটে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলিস্তানের পোড়া মার্কেটে থাকা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। মার্কেটটির বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই তা বেদখল হয়ে যায়। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মোহাম্মদ নাজমুস শোয়েবের নেতৃত্বে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। উচ্ছেদের প্রতিবাদে গুলিস্তান এলাকার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে ব্যবসায়ীরা। অভিযানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মোহাম্মদ নাজমুস শোয়েব বলেন, ডিএসসিসির স্থাপনা দখলমুক্ত করতেই এ অভিযান। এখানে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে সিটি করপোরেশনের জায়গা দখল করে রেখেছিল। আমরা তাদের উচ্ছেদ করেছি। মার্কেটের নেতারাও আমাদের সহযোগিতা করছেন। উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে। অভিযানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক বলেন, মেয়র সাঈদ খোকন দেশে না থাকার সুযোগে ভারপ্রাপ্ত মেয়র এই মার্কেট থেকে তাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছেন। অথচ আমাদের কাছ থেকে ৩৪ কোটি টাকা নিয়েছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু দোকান করে দিচ্ছে না।

এজন্য আমরা এখানে বসেছি। আমাদের পজেশন বুঝিয়ে দিলে আমরা এখান থেকে চলে যাব। উচ্ছেদ না করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। তাছাড়া এ উচ্ছেদ অভিযানের আগে আমাদের কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি।

এ অভিযোগের বিষয়ে খান মোহাম্মদ নাজমুস শোয়েব বলেন, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ঠিক নয়। তাদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে এখানে মাইকিংও করা হয়েছে। আর এখানে উচ্চ আদালতের একটা আপিলের রিভিউ চলমান আছে। এটা বেজমেন্টের দোকান মালিকরা করেছেন। সে জন্য আমরা বেজমেন্টে অভিযান চালাচ্ছি না। আমরা একতলা এবং দোতলায় অভিযান চালাচ্ছি।

ডিএসসিসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মার্কেটের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই সেখানে দখল নেয় দোকানদাররা। ফলে নির্মাণকাজ শেষ করা যাচ্ছে না। এতে সিটি করপোরেশন রাজস্ব আদায় থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। ২০০৩ সালে মার্কেটের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রস্তাবিত ১২ তলা এ ভবনে এক হাজার ৬৪৬টি দোকান বানানোর কথা রয়েছে। তবে বেজমেন্ট থেকে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত শুধু ছাদ ঢালাই করা হলেও এর মধ্যেই টিনের বেড়া দিয়ে বিভিন্ন দোকান বানিয়ে নেন দোকানদাররা। ছাদের ওপরেও টিনের চাল দিয়ে ঘর বানানো হয়েছে। এসব দোকান বিভিন্ন দোকানের মালামাল রাখার গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযানের খবর পেয়ে সকাল থেকেই সেখানে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন দোকানদাররা। তাদের অভিযোগ, দোকান বরাদ্দের টাকা জমা নিলেও মার্কেট নির্মাণ শেষ করেনি সিটি করপোরেশন। দোকানের বরাদ্দও দেয়নি। এ কারণে তারা সেখানে স্থাপনা গড়ে তুলেছেন।

সর্বশেষ খবর