মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা এলাকায় কড়া নিয়ম মেনে ভোটার হওয়ার ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে ৩০ উপজেলায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এসব এলাকায় কড়া নিয়ম মেনে ভোটার হতে হবে। যিনি ভোটার হতে চান তাকে তার বাবা-মা, ফুফু, চাচার জাতীয় পরিচয়পত্র পেশ করতে হবে। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয় সভা শেষে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

 সভায় সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিকালেও এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভোটার হালনাগাদের প্রচারণার বিষয়ে বৈঠক করে ইসি।

তিনি জানান,  বিশেষ এলাকা এর আগে ২০টি উপজেলা ছিল। এবার আরও ১০টি এলাকা চিহ্নিত করেছি। এই ৩০টি এলাকার জন্য বিশেষ কমিটি রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার প্রবণতা রোধে এসব বিশেষ এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা প্রবেশের বিষয়ে সচিব বলেন, বিশেষ এলাকার যে কার্যপরিধি আছে সেখানে কমিটির কাজ নির্ধারিত করা আছে। বিদেশি নাগরিকরা যাতে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে তারা পদক্ষেপ নিতে পারেন।

বিশেষ এলাকায় ভোটার হতে চাইলে কমিটিকে ভোটারের বাবা-মার, ফুফু-চাচার আইডি দেখাতে না পারলে বা বিদেশি নাগরিক প্রমাণ পেলে কোনো লোক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না। ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কাজ শুরু হবে। যাদের বয়স ১ জানুয়ারি ২০০০ বা তার আগে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে এবার তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তথ্য সংগ্রহের পর তিনটি ধাপে ডিসেম্বরের মধ্যে নাগরিকদের ছবি ও তথ্য নিবন্ধন করা হবে। ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। হালনাগাদে ঠিকানা স্থানান্তর ও মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হবে। তবে তথ্য হালনাগাদে নাম সংশোধনের বিষয়টি রাখা হয়নি। নাম বা অন্য যে কোনো সংশোধনের জন্য যে কোনো দিন নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। আর এটা সারা বছরই করা যাবে।

ইসি সচিব জানান, এবারের ভোটার তালিকায় বাদ পড়া ৩৫ লাখ ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। সারা বছরই যে কেউ নতুন করে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে পারবে। এ ছাড়া সংশোধনের আবেদন করতে পারবে, সংযোজন-বিয়োজন করতে পারে, কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে যে কোনো সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে আবেদন করতে পারবেন।

নারী ভোটার বাড়ানোর বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, এ জন্য আমরা বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিয়েছি মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী এবং সচিবের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছি। এ ছাড়া নারী নেতৃত্বে যারা আছেন বিশেষ করে নারী জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মীদের এই কার্যক্রমে সহযোগিতা আমরা চেয়েছি।

সর্বশেষ খবর